Author: চণ্ডী দাস
সাফাদ শান্ত দৃষ্টিতে সমুদ্রর দিকে তাকিয়ে নাক চেপে ধরে উঠে চলে যায়৷ সাফাদ চলে যেতে সমুদ্র দরজায় দুটো লাথি মারতে দরজা ভিতর থেকে খুলে যায়৷ ভিতরে ঢুকে সমুদ্র স্তব্ধ হয়ে যায়…. চারজন মহিলা ডক্টর ঝিনুকের কাটা হাতের রক্ত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দেয়৷ডক্টর ঝিনুকের পায়ে ক্ষত দেখতে পেয়ে পা ক্লিন করে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়৷ সমুদ্র পাগলের মতো বিহেভ করছে৷ ঝিনুকের অন্য হাত ধরে চুমু খেয়ে যাচ্ছে সকলের সামনে ৷ আশরাফ মির্জা আর তার ওয়াইফ সোহিনী মির্জা যে দারিয়ে আছে তা সমুদ্রকে দেখে বোঝার উপায় নেই ৷ আশরাফ মির্জা আর সোহিনী মির্জা ঝিনুকের দিকে জ্ঞান ফেরার অপেক্ষা করছে ৷ অনেকটা…
রবিনের বাড়ি থেকে ফাহাদ ও পৌষী নিজেদের বাড়িতে এসেছে বেশ কিছুক্ষণ হলো । কেউ কারো সাথে কথা বলেনি এখনো ।ফাহাদ ড্রয়িংরুমে বসে চিন্তায় মগ্ন । এমন সময় পৌষী এসে বললো-চা খাবেন?-মন্দ হয়না ।.রান্নাঘরে এসে পৌষী চা বানাতে শুরু করলো । সাথে গুনগুনিয়ে গান গাইতে লাগলো-আমারো পরাণ যাহা চাইতুমি তাই…তুমি তাই গো,আমারো পরাণ যাহা চাই….রান্নাঘরের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ফাহাদ বললো-তুমি দেখছি গানও গাইতে পারো ।.ফাহাদের কথার পিঠে কোনো কথা না বলে মনোযোগ সহকারে পৌষী চা বানাতে থাকলো ।ফাহাদ প্রশ্ন ছুড়লো-পৌষ মাসে জন্ম বলে তোমার নাম পৌষী রাখা হয় । তোমার মা খুব শখ করে এই নামটি রাখেন । তাইনা?.সে কথার জবাব…
রাতে…..তিতাস এর বাসায়……….আফতাব সাহেব তার স্টাডি রুমে বসে কাজ করছে ফাইল নিয়ে।তিতাসঃআসতে পারি?আফতাবঃচলে আয়।এটা তোর বাসা অফিস না তাই পারমিশন নেওয়ার কিছু নাই।বুঝলি?তিতাস চেয়ারে বসতে বসতে বললো তা তো বুঝলাম। বাবা আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে।আফতাবঃবল।তিতাসঃবাবা তুমি যে টিম 6 তৈরী করছো তাতে আমার কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু তিতির?ঐ মেয়ে কেনো? একটা বাচাল মেয়ে।আফতাবঃকেনো তিতির কি করেছে?তিতাসঃকি করেনি বলো?এরপর তিতাস সব বললো। সব শোনার পর আফতাব হাসতে লাগলো 😂😂😂😂তিতাসঃবাবা তুমি হাসছো?.😒😒আফতাবঃ ওকে হাসলাম না।আসলে তিতির এমনই।মেয়েটার বাচ্চামি আছে।দুষ্টামি করে।কথায় কথায় মজা করে তবে ও কাজের প্রতি অনেক সিরিয়াস,প্রত্যেকটা কেস খুবই বিচক্ষনতার সাথে সলভ করেছে।কখনো কাজে হ্যালাফ্যালা করেনি। শুন আমরা…
সাকিবঃফাইলগুলো ডিক্রিপ্ট হয়ে গেছে কিন্তু…….এখানে কোন ডেটা নেই……সব ডিলিট করা দেয়া হয়েছে……জিসানঃভালো করে চেক কর….সাকিবঃকিছুই নেই……জিসানঃ কিভাবে ফাইল ও নিশ্চই থাকবে যদি না কেউ ডিলিট করে দিয়ে থাকে…..অর্কঃদোস্ত সমস্যা তৈরী হইছে….আমি আরেকটা ফাইল চেক করতেছিলাম…তক্ষনি কিছু ডিক্রিপ্ট ডেটা পাই….কিন্তু কেউ একজন ফাইলগুলো ডিলিট করে দিয়েছে….জিসানঃঠিক বলছিস তো….যদি ওরা অনলাইন হয়ে থাকে…তাহলে ওদের আইপি খুজে বের কর…সাকিবঃঅন মাই ডিউটিসাকিব কিবোর্ডে হাত চালাতে লাগলো….কিছুক্ষন পর….দোস্ত ওদের আইপিটা পেয়েছি কিন্তু প্রোটেক্টেড একটু পর পর লোকেশন চেঞ্জ করছে…..জিসানঃএরা খুবই দক্ষ হ্যাকার এদের হালকা ভাবে নিসনা….অর্কঃগাইজ…..অনেক বড় প্রবলেম হচ্ছে…..ওরা আমাদের সিস্টেম ওভাররাইড করার চেষ্টা করতেছে….জিসানঃওহ ম্যান শিট…….ওরা যদি আমাদের সিস্টেম হ্যাক করে ফেলে তাহলে..তো আমাদেরঠিকানা…
কিছু প্রশ্ন মস্তিষ্ককে সব সময় মাতিয়ে রাখে,আর কিছু স্পর্শ পাথর বুকেও তাজা গোলাপ ফোটাতে পারে। মেয়েটা যখন অঘোর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন গাড়ি একটা আইলেন ক্রস করে। ড্রাইভার ততোটা খেয়াল করেনি। তাই গাড়িটা একটু ভালো ভাবেই নড়ে চরে উঠলো। মেঘা চোট সামলাতে না পারে আমার দিকেই হেলে পড়লো। মেঘার হাতের বাহুর উল্টো দিকের স্পর্শে আমি কেঁপে উঠলাম। নিজের ভিতরে ভয়ে গেলো এক অদ্ভুত শিহরণ। আমি অতি তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিয়ে একটু সরে বসলাম। কিন্তু মেয়েটা যে প্রচুর ঘুম পাগলী সেটাতো আমার অজানা। এতো বড় একটা হুচোটে তার ঘুম ভাঙ্গেনি। উল্টো বাধিয়ে বসলো আরেক বিপত্তি। সে আরো আমার দিকে ডলে পড়লো।এ কেমন…
নিশির কান্নায় নিলয়ের ঘোর কাটলো।।।ও যে কতোটা জঘন্য কাজ করেছে তা মুহূর্তেই বুঝতে পারলো।।নিজেকেই খুন করে ফেলতে ইচ্ছা করছে তার।।।হাউ কোড হি??আর কিছু না ভেবে ব্যস্ত হয়ে নিশির কাছে ছুটে গেলো নিলয়,,,।নিশু,,,নিশু স,,সরি।।আমি এমন কিছু করতে চাই নি বিশ্বাস করো।।প্লিজ কেঁদো না।।মাফ করে দাও প্লিজ,,,!!!(করুন দৃষ্টিতে নিশির দিকে তাকিয়ে)।নিলয়কে কাছে আসতে দেখে আরো কুঁকড়ে গেলো নিশি,,,গুটি-শুটি হয়ে বসে আছে।।নিলয়ের কোনো কথা তার কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কি না তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে,,,যেকোনো মেয়ের জন্যই এটা একটা বড় ধাক্কা,,,।নিশির কোনো রেসপন্স না পেয়ে,, হালকা হাতে নিশির হাতটি ধরার সাথে সাথেই ঝটকা দিয়ে হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে বেরিয়ে যায় নিশি,,,নিলয় কি করবে বুঝতে না…
“কি বলছো মেয়েটি প্রেগন্যান্ট? এতো অল্প বয়সী মেয়ে প্রেগন্যান্ট!”শেফা যখন এই প্রশ্নটি করলো তখন লিরা বলল,”হ্যা অল্প বয়সেই ওর বিয়ে হয়েছে।এসএসসি পরীক্ষার পর বিয়ে হয়ে গেছে।তারপর যখন ১মাসের প্রেগন্যান্ট হলো তখন ওর বর আউট কান্ট্রি তে চলে যায়।তাই পড়ালেখার খাতিরে ও হোস্টেলে এসেছে।”শেফা বলল,”ও আচ্ছা।কিন্তু ওর অনেক কষ্ট হবে।”লিরা বলল,”তাতো হবেই।কিন্তু চেষ্টা করলে মেয়েরা সব পারে।ঘর সংসার বাচ্চা সামলিয়ে পড়াশোনা করার রেকর্ড অনেক রয়েছে।”শেফা আর লিরা কথা বলছিলো হোস্টেলে আসা নতুন মেয়ে আয়শা কে নিয়ে।ওদের আড্ডার মাঝে দরজায় করাঘাতের আওয়াজ পেলো।সবাই ঠিক হয়ে বসে দরজা খোলে দিলো।আবার আরেকটি মেয়েকে নিয়ে এসেছে দারোয়ান মামা।মেয়েটি বেশ লম্বা এবং ফর্সা।চেহেরাতে কেমন চঞ্চলতার ছাপ।মেয়েটিকে…
সন্ধ্যে বেলার তুমি | পর্বঃ ২ মিসেস মায়া ঝিনুককে নিয়ে ড্রইংরুমে নিয়ে আসতে ঝিনুককে বলা হয় সবাইকে সালাম দিতে। ঝিনুক সালাম দিয়ে সামনে তাকাতে সমুদ্রের দিকে চোখ দুটো আটকে যায়৷ সাথে সাথে মনে পরে যায় সেই ঘটনা ৷ সমুদ্রকে দেখে ঝিনুকের হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল ৷ ঝিনুক তার মাকে কিছু বলতে যাবে তার আগে সমুদ্র কাউকে কিছু বলতে না দিয়ে বলে উঠলো …..”” আগামিকাল বিয়ে হবে আর আমি না শব্দটা শুনতে অভ্যস্ত নই৷”” সন্ধ্যে বেলার তুমি৷ সমুদ্রের কথা শুনে ঝিনুকের বাবা রিয়াজুল রহমান ভিষন ভাবে রেগে গেলেন৷ মেয়ে দেখতে এসে এভাবে নিজের মতামত তার মেয়েদের উপর চাপিয়ে দেওয়াটা তিনি…
একটা প্রশস্থ ঘরের খাটের উপরে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে পৌষী । দরজার পাল্লাটি খোলা । বাইরে বাতাস বইছে । জানালার পাল্লাও খোলা থাকার কারণে জানালার ধারের পর্দাগুলো উড়ছে । এরই মধ্যে ফাহাদ দু’বার এসে পৌষীকে দেখে গিয়েছে । মেয়েটার শরীরটা ভালোনা ৷ জ্বর এসেছে ৷আজ কেনো যেনো মায়া কাজ করছে এই মেয়েটির জন্য!পৌষী…ফাহাদের স্ত্রী । কুমিল্লার তালতলা গ্রামের মেয়ে সে । ছোট থেকেই তাকে চেনে ফাহাদ । তার বাবার বন্ধুর মেয়ে সে । খুব ছোট বেলায় মাকে হারায় পৌষী । সৎমায়ের সংসারে বড় হয়েছে সে ।মা-বাবার জোরাজুরিতেই তাকে বিয়ে করতে হয়েছে ফাহাদের । পৌষী দেখতে সুন্দরী, সংসারী মেয়ে । তবে…
আহহহহহহ!!!!!!!!!!!মরে গেলাম। আম্মু ওওওওওও বাচাওওওওওওওওওওওওও!!!!!!!!!!!আআআআআআআআআকি ভাবছেন কি হয়েছে? বলছি।।।।।তিতির ফাইল নিয়ে অফিসে ঢুকছিলো এমন সময় কারো সাথে ধাক্কা খায় আর পরে যায় আর এই কাহিনী।তিতিরঃঐ জলহস্তি, খচ্চর, বান্দর , ডাইনাসোর এর পঁচা ডিম, কালা কুমির চোখ কি পাশের বাসার মানুষরে দান কইরা আসছোস দেখস নালোকঃদেখুন আমার কোনো দোষ নেই আপনি ফাইল নিয়ে এতো ব্যসত ছিলেন যে আমাকে দেখেন নাই আর তাই ধাক্কা দিসেন আপনার দোষ তার উপর আপনি আমাকে চিল্লাচ্ছেনতিতিরঃকি!!!!আমার দোষ। আমার কাজের জায়গায় এসে আমাকে দাদাগিরি দেখাস!!!তিতির পাশের টেবিল থেকে পানির গ্লাস নিয়ে পানি লোকটির উপর মেরে দিলো।আর সেখান থেকে রেগে চলে গেলো।তিতির যদি পিছনে তাকাতো তাহলে বুঝতো লোকটা…