Author: চণ্ডী দাস

রেস্টুরেন্টে বসে আছি আমি আর গালিব। আমার দৃষ্টি শুধু এদিক সেদিক। দেখছি কেউ ফলো করছে কি না।কিন্তু আশেপাশে তেমন সন্দেহ ভাজন কাউকে দেখলাম না। গালিব কে কিছু কথা বলা দরকার। ওর থেকে মুন্নীর জীবন বৃত্তান্ত জানার প্রয়োজন।আমার ধারণা গালিব মুন্নীর সম্পর্কে অনেক কিছু জানে।–গালিব?–হুমম।–মুন্নি মেয়েটা কেমন রে?গালিব মুন্নি নামটা শুনতেই বিষম খেয়ে উঠলো। আমি পানি এগিয়ে দিলাম। পানি খেয়ে একটু পর শান্ত হলো।–হঠাৎ মুন্নি আপু সম্পর্কে জানতে চাইছিস কেন?–না মানে এমনি।–ভালো।–তাহলে যে বললি “তাকে দেখলে ডিপ্রেশনে পড়ে যাই” কেন ডিপ্রেশনে পড়িস?–তুই সেই কথা ধরে এখনো বসে আছিস? বাদ’দে তো।।–তুই যদি এখন আমার থেকে কিছু লুকোনোর চেষ্টা করিস তাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে…

Read More

আআআআআআআআআআআআআ,,,,এই চুপপ চুপপ(নিশির মুখ চেপে ধরে)চেঁচাচ্ছো কেন??গণদোলাই খাওয়াবা নাকি??আর কথা না বলে উমম উমম করছো কেন??(নিশি চোখ দিয়ে ইশারা করায় মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিলো নিলয়)ওহ্,,,সরি সরি,,,আর ইউ অলরাইট??(জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিয়ে,,,চিৎকার করে)আ,,,আপনি আপনি এতো রাতে আমার বেডরুমে আসার সাহস করলেন কিভাবে??সাহসের কি আছে নিশু??আর্মি ট্রেনিং নেওয়া আছে আমার,,,তোমার ব্যালকনি দিয়ে রুমে ওঠে আসা,,, আমার জন্য রীতিমতো দুধ ভাত।।।(বাঁকা হাসি দিয়ে)কিহহ্(অবাক হয়ে)আ,,,আপনি ব্যালকনি দিয়ে রুমে ঢুকেছেন??তা নয়তো কি??তোমার কি মনে হয়?? এতো রাতে আমি তোমার বাবা থেকে পারমিশন নিতে যাবো আর তোমার হিটলার বাপ নাচতে নাচতে রাজি হয়ে যাবেন???এই,,একদম বাবাকে নিয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলবেন না,,,(রাগী চোখে)আমি এক্ষুনি বাবাকে ডাকছি,,,তারপর…

Read More

মাঝ রাতে কান্নার শব্দে কথার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।একটা মেয়েলি কন্ঠের ডুকরে ডুকরে কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো।কথা কান খাড়া করে শোনছে।কান্নার আওয়াজ টা রুমের ভেতর থেকেই আসছে।রুমের মাঝামাঝি কারো বেড থেকে।কথা কে কাদছে তা দেখার জন্য এগুচ্ছে।ততোক্ষনে শেফাও জেগে গেছে।কথা এবং শেফা দুজন দুজনার মুখোমুখি হয়ে গেলো।শেফা কিছু বলতে যাবে তখন কথা শেফা কে থামিয়ে দিয়ে গলা নামিয়ে বলল,”আস্তে কথা বল! আমরা চুপি চুপি গিয়ে দেখবো কে কাদঁছে।”শেফা মাথা নেড়ে সায় দিলো।ওরা দুজন খুব সন্তর্পণে ধীরে ধীরে পা ফেলছে।কান্নার শব্দ কে অনুসরণ করে দুজনেই চলতে লাগল।যে বেড থেকে কান্নার শব্দ আসছিলো সেখানে গিয়ে থামলো দুজন।কথা ফোনের ফ্ল্যাশ অন করলো।বিছানার দিকে তাকিয়ে…

Read More

নাহ আমি হার মানবো না৷ আমাকে এই জাহান্নাম থেকে পালাতে হবে ৷ কিন্ত পূর্ণ কোথায়? ওকে আগে খুজে বের করতে হবে ৷ ” কথা গুলো বির বির করে বলতে বলতে হঠাৎ দরজার লক খোলার শব্দ পায় ঝিনুক মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে পূর্ণতা ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে ৷ ঝিনুক ছোট বোনকে দেখে খুশিতে হাতে পায়ের ব্যাথা ভুলে বিছানা থেকে নামতে যাবে তখনি পূণর্তা দৌড়ে এসে ঝিনুককে আটকে দিয়ে বলে” আপু কাটা পা নিয়ে তোকে বিছানা থেকে নামতে হবে৷”ঝিনুক পূর্ণতাকে জরিয়ে ধরে কাদঁতে কাদঁতে বলতে লাগলো” পূর্ণ তোর কোন ক্ষতি হয়নি তো? তুই ঠিক আছিস তো? ওই সাইকো জানোয়ারটা তোর…

Read More

সারাদিনের ক্লান্তি ভারাক্রান্ত শরীর নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছে ফাহাদ । আজ তার কলিংবেল চাপতে হলোনা। দরজা খোলাই ছিলো । ভেতরে প্রবেশ করেই ডাইনিং টেবিলে দেখা পেলো পৌষীর । ভাত খাচ্ছে সে । সবেমাত্র রাত ৯টা বাজতে চললো । পৌষী এতো তাড়াতাড়ি ভাত খায়না । ফাহাদকে ছাড়াতো একদমি না । ফাহাদ যতো রাত করেই বাসায় ফিরুক না কেনো, পৌষী না খেয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতো । তবে আজ কি হলো?ফাহাদকে দেখে কোনো কথাও বলছেনা পৌষী । ফাহাদ হালকা কেশে তার উপস্থিতি জানান দিতে চাইলো । কিন্তু পৌষীর কোনো প্রতিক্রিয়া নেই । সে খেয়েই চলেছে! অবশেষে ফাহাদ বলেই ফেললো-আজ কি তোমার…

Read More

পরেরদিন…..সকালে….তিতাস অফিসে ঢুকতেই সবাই দাড়িয়ে তাকে সম্মান জানালো।গুড মর্নিং গাইস।গুড মর্নিং স্যার!!!তিতাস একবার তার নজর পুরো অফিসে ঘুরালো।কোথাও তিতিরকে দেখলোনা।তিতাসঃকি হলো আজ তিতিরকে দেখা যাচ্ছে না কেনো? (মনে মনে)হঠাৎ নিজের প্রশ্নে নিজেই অবাকতিতাস তোর কি হয়েছে তুই আজ হঠাৎ ঐ মেয়ের কথা ভাবছস?তুই পাগল হয় যাচ্ছস??তিতাস বড় একটা শ্বাস নিলো।হটাৎ তিতাস এর নজর দরজার দিকে গেলো।সে দেখলো তিতির আসছে তবে তার সাথে শুভ।তিতির শুভর সাথে খুব হেসে হেসে কথাও বলছে।তা দেখে তিতাস এর খুব রাগ হলো।তিতাসঃতোমরা এতক্ষনে এসেছো? কোথায় ছিলে তোমরা?😤তিতিরঃস্যার আসলে আফতাব স্যার আমাদের দুইজনকে একটা কাজে পাঠিয়েছিলো তাই,স্যার।শুভঃ জি স্যার। আমরা কাজের জন্য গিয়েছিলাম।তিতাসঃওকে যাও তোমাদের ডেস্কে। আর…

Read More

তোমরা কারা যারা রকস্টারের সিস্টেম হ্যাক করার সাহস রাখো…..”””হ্যাকার দল এখন পরে গেছে মহা বিপাকে কি করবে সার্ভার অফলাইন করবে না রকস্টার এর সাথে কথা বলবে ।এদিকে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে…..আবার স্ক্রিনে মেসেজ শো করছে””তোমরা কি চাও যে তোমাদের জেলের ঘানি টানাই””বসঃএখন যাই হোক না কেন পুলিশের হাতে ধরা দেয়া যাবেনা আর রকস্টার হ্যাকার হিসেবে বেশি পরিচিত মানুষকে সাহায্য করার জন্য তাই ওনার সাথে কথা বলে বুঝিয়ে বললে মন্দ হয়না।হ্যাকার ১ঃ হ্যা এটাই ঠিক হবে…হ্যাকার ২ঃকিন্তু উনি কি কথা বলবেন…..বসঃদেখা যাক….বস টাইপিং শুরু করলো…. Am i talking To the most efficient hacker “RockStar”.আমি কি সবচেয়ে দক্ষ হ্যাকার রকস্টার এর সাথে কথা…

Read More

–ভিতরে চল?–যাবো। একটু ওয়েট কর।আমি চট করে বেগ থেকে একটু নরমাল ড্রেস গুলো বের পড়ে ফেললাম।গালিব মুচকি হেসে বললো,–তোর মতিগতি বোঝা বড় দায়।–তুই ছোট মানুষ, তোর এতোবুঝে কাজ নেই।–কোন সময় কোন বিপদে ফেলে দিস সেটা বলা মুসকিল।–দূর আজাইরা চিন্তা করিস কেন ।চলতো?পুরো বাড়িতে মেহমানের ছড়াছড়ি। এদের মাঝে কাউকেই আমি চিনি না। নানু,বা মামাদের দেখলে একটু অনুমান করতে পারবো।গালিব আমাকে সবার ছবি দেখাতে চেয়েছে অনেক বার। কিন্ত ইচ্ছে হয়নি দেখার।আমি মানুষটা বেশ অদ্ভুত, যা থেকে একবার অনীহা সৃষ্টি হয়,সেটার প্রতি আকর্ষন তৈরি করতে বেস সময় নেয়। অনেক সময়, সময় নিয়েও কাজ হয় না।গালিব আমার সাথেই আছে।সে আমার মুখের কোনো প্রশ্ন বোধক…

Read More

চোখদুটো হালকা খুললো নিশি।।ওর দিকে এগিয়ে আসা স্টিকটা কেউ একজন চেপে ধরে আছে শক্ত করে।।নিশি একটা ঢোক গিলে পাশে তাকালো,,,,সাদা শার্ট,,কালো জিন্স,,,পরিহিত একটা ছেলে একহাত পকেটে রেখে অন্যহাতে স্টিকটা চেপে ধরে আছে অনেকটা স্টাইল নিয়ে।।নিশি তাকাতেই ছেলেটাও আড়চোখে তাকালো কিন্তু প্রায় সাথে সাথেই চোখ ফিরিয়ে নিলো।।কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকটা ছেলে এসে দাঁড়ালো ছেলেটির পাশে,,,আর চোখের ইশারা পেয়েই সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটাকে বেদড়াম পেটাতে লাগলো।।।কিন্তু সেদিকে নিশির কোনো খেয়ালই নেই,,,সে তো অবাক চোখে ছেলেটিকে দেখছে।।।ছেলেরাও যে এতো সুন্দর হতে পারে নিশির তা জানা ছিলো না।।সৃষ্টিকর্তা যেনো পৃথিবীর সব ইনোসেন্স এই ছেলেটির গায়ে ঢেলে দিয়েছেন।।গায়ের রং টাও কি ভয়ংকর সুন্দর।।ছেলেটির গায়ের রংটা নিশির…

Read More

আজ কলেজ থেকে তাড়াতাড়ি এসেছে ওরা।হোস্টেলে দিপাবলীর অনুষ্ঠান উৎযাপিত হতে চলেছে।তাই হোস্টেলে অনেক কাজ রয়েছে।আলপনা আকাঁ, প্রদিপ গুলো সাজানো সহ আরো অনেক কাজ।পুকুর পাড়ে মেয়েরা আলপনা আঁকছে।সাউন্ড বক্সে গান বাজছে।লিরা আলপনা আঁকছে, লিরা আলপনা আকাঁয় অনেক দক্ষ।বাড়িতে নাকী নিয়মিত আকঁতো।কথাও লিরাকে হেল্প করছে।আর শেফা দূরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।সারা দিন এইসব করতে করতেই কেটে গেলো।সন্ধ্যায় কথা গোসল করার জন্য বড় গোসল খানায় যাবে তখম শেফা বাধা দিয়ে বলল,”এখন রাত হয়ে গেছে, তুই উপরেই গোসল কর।নীচে কেউ থাকবে না, ওখানে যাওয়ার দরকার নেই।”কথা বলল,”কেনো? আমি নীচেই গোসল করব, কেউ না থাকলেও আমার সমস্যা হবে না।আমি ভয় পাই না।”শেফা বলল,”দেখ কথা পাগলামী করিস…

Read More