Author: চণ্ডী দাস
গাড়ির দরজা খুলতে গিয়ে বুঝতে পারলো গাড়ির দরজা লকড্।। নিশির প্রাণপাখি যেনো নিশির মাঝে আর নেই,,সে ভয়ের চোটে আশেপাশে ছুটাছুটি করছে।।।সে নিশ্চয় কিডন্যাপ হয়ে গেছে।। এবার কি হবে???ওকে যদি মেরে ফেলে??নিলয় নিশ্চয় ওকে না পেয়ে,, সুন্দর একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিবে,,,,নাহ এটা তো নিশি কখনো হতে দিবে না।।দরকার হলে ভূত হয়ে ঘাড়ে চেপে বসবে তবু পিছু ছাড়বে না।।কিছুক্ষণ চিৎকার চেঁচামেচি করার পর নিশি বুঝতে পেরে গেছে,,, তার আওয়াজ বাইরে পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না,,শুধু শুধু চেঁচিয়ে এনার্জি ওয়েস্ট করার কোনো মানে হয় না।।।অন্য কিছু ভাবতে হবে,,,মারাত্মক একটা প্ল্যানিং করতে হবে।।কিন্তু কি করবে,,,সেটাই তো মাথায় আসছে না।।নিশি বসে বসে এসবই ভাবছিলো হঠাৎ…
মেয়েটি খুব সুন্দর করে সেজেছে।নিজের শাড়ি নেই তাই বান্ধবীর শাড়ি নিয়ে পড়েছে।হাতে নীল চুড়ি, কপালে কালো টিপ, চুল গুলো সুন্দর করে বাধা।চোখে কাজল, একদম পারফেক্ট বাঙ্গালী সাজে সেজেছে।পায়ে রুপার নুপুর, রুপ যেনো ঠিকরে বেরোচ্ছে।এক দেখাতেই চোখে ধাধা লেগে যাবে যে কারো।মেয়েটি বাথরুমে এসেছে, মেয়েটি ২০৮ নাম্বার রুমে থাকে।২০৯ এর বাথরুম আর ২০৮ এর বাথরুম একই।রাত ১১:৪৫ মিনিট বাজে, মেয়েটি বাথরুম সেরে ওয়াশরুমে এসেছে হাত মুখ ধোয়ার জন্য।ওয়াশরুমে ঢুকে পানির ট্যাব টা ছেড়ে দিয়ে গুন গুন করে গান গাইছে।হাত ধোয়া শেষে যখন বের হবে অমনি দরজাটা বন্ধ হয়ে গেলো।এমন ভাবে বন্ধ হল যেনো কেউ স্বজোরে লাগিয়ে দিলো।মেয়েটি অবাক হলো, আবার ভাবলো…
” জ্বি তবে সমুদ্র সুস্হ হওয়ার পর তার করা অপরাধের শাস্তি পাবে সে, আমার বাবা মাকে খুন করার শাস্তি আমি ওকে নিজের হাতে দিবো কথা দিলাম..”ঝিনুকের কথায় হতবাক হয়ে যায় মিসেস মির্জা ৷ তিনি ঝিনুককে কিছু বলতে যাবেন তখনি কারো পায়ের আওয়াজ পেয়ে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে যায়….ঝিনুক দরজার দিকে তাকিয়ে আছে সমুদ্রের আশার অপেক্ষায় ৷ সমুদ্র খাবারের ট্রে নিয়ে ভিতরে ঢুকে ঝিনুকের দিকে তিক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে খাবার টা টেবিলের উপর রেখে ঝিনুককে বলল”প্রিন্সেস ফ্রেস হয়ে এসো দেন খাবার খেয়ে মেডেসিন খেতে হবে তোমাকে..” ঝিনুক মাথা নিচু করে বিছানা থেকে নামতে ক্ষত পায়ে ব্যাথা অনুভব করলো৷ ঝিনুক চোখ মুখ খিচে…
পৌষীর দিকে চোখ পড়তেই থেমে গেলো উষ্ণ । লাল শাড়ি পরিহিতা এমন কোনো রূপবতীকে দেখলে, যেকোনো পুরুষেরই থমকে যাবার কথা । উষ্ণের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হলোনা ।পৌষীও অপলকভাবে তাকিয়ে আছে উষ্ণের দিকে ।এভাবে ঠিক কতোক্ষণ সময় কেটে গিয়েছে তারা জানেনা! হঠাৎ মিয়াজ শেখ উপস্থিত হয়ে উষ্ণের উদ্দেশ্যে বললেন-হেই উষ্ণ! তুমি আমার কথায় ঢাকা থেকে চলে আসবে ভাবতে পারিনি আমি ।.মিয়াজ শেখের কথা শুনে ঘোর কাটলো উষ্ণ এর । মুচকি হেসে সে বললো-ঢাকাতে থাকলেও এখানেই আমার বাসা! আর আপনি আমার প্রিয় ব্যক্তিদের মাঝে একজন । সো আপনার জন্মদিনে আসতেই হতো আমাকে । সে আপনি ইনভাইট না করলেও আমি ছুটে আসতাম ।-এই…
পরেরদিন……………………..সবাই রেডি হয়ে প্রস্তুত। তিতাস আর তিতির দুজনেই গাঢ় নীল রং এর পোশাক পড়েছে।তিতাস নীল রং এর ব্লেজার পড়েছে।ভিতরে হোয়াইট শার্ট পড়েছে।দেখতে একদম হিরো লাগছিলো।তিতির গাঢ় নীল শাড়ি, সাদা ব্লাউজ,চোখে গাঢ় কাজল,ঠোটে খয়েরী লিপস্টিক, কানে সাদা পাথরের দুল।চুল এক সাইড করে খোপা করা।দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।তিতাস তো দেখেই ফিদা।তিতাসঃএই মেয়েকি আমায় মারার প্লান করছে।এতো কিউট কেনো লাগছে। ইচ্ছা করছে এখনি গাল দুটোই কিস করে দিয়ে আসি।উফফফ!!(মনে মনে)তিতিরঃস্যারকে আজ দেখতে জোস লাগছে😍😍 কিন্তু এটা বলা যাবে না বললে পার্ট বেড়ে যাবে।নীল সাদা রং এর পাঞ্জাবি পড়েছে।চুল সাদা করেছে।আলগা সাদা দাড়ি লাগিয়েছে।প্রিয়া হালকা বাদামী রং এর শাড়ি পড়ছে।চোখে চশমা।সাদা চুল।আকাশ আর শুভ…
ঢাকনায় ফিংগার প্রিন্ট লক দেওয়া জিসান তারমিনি কম্পিউটার টি বের করে পুরো বাড়ির সার্ভার অফলাইন করে দেই এবং লকটি আনলক করে।ঢাকনাটি খুলে যায় জিসান আর সাকিব পিস্তল নিয়ে ঢুকে পড়ে আন্ডার গ্রাউন্ড রুমটিতে পুরো রুমটি একটি অত্যাধুনিক সার্ভার রুম ।অনেক হাইটেল গ্যাজেট লাগানো এখানে।জিসান পুরোটা পরখ করে দেখতে থাকে।হঠাৎ সাকিবের ডাকে দেখতে পায় যে রক্তের দাগ ।রক্তটা জিসান আংগুল দিয়ে পরখ করে দেখে বেশি একটা পুরনো না খুবই সামপ্রতিক রক্তের দাগগুলো।সাকিবঃমেয়েটাকে এখানেই মারা হয়েছে।জিসানঃহ্যা ।ভিডিওর ব্যাগ্রাউন্ড আর রক্ততো সেই কথাই বলছে।কিন্তু মেয়েটা এখানে এলো কি করে ।সাকিবঃহয়তো মেয়েটা এদের সাথে কাজ করতো….জিসানঃতাহলে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো কেন?সাকিবঃসেটাই তো রহস্য….উপর থেকে…
ভর দুপুর বেলা শুয়ে আছি গালিবের রুমে। তরীর চিন্তায় মাথা নষ্ট হবার জোগাড়। কিভাবে বিয়েটা আটকানো যায় সেটাই ভাবছি। এখন সব প্লেন বাধ দিয়ে হলেও তরীর বিয়েটা আটকানোর চিন্তা করতে হবে।তরীর প্রতি এমন ভিন্ন আচরনের জন্য বাড়ির প্রতিটা সদস্যকে কঠিন জবাব দিতে হবে। চিন্তা করতে করতে এক সময় চোখ দুটি লেগে আসলো। হাড়িয়ে গেলাম গভির ঘুমে।**শ্রাবনের মেঘাচ্ছন্ন বিকেল, মেঘা ছাঁদে বসে বৃষ্টির অপেক্ষা করছে,আমি গেইটের দরজার পাশে দেয়ালটার সাথে হেলান দিয়ে ওর রূপের মাধুর্যে হাড়িয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ শুরু হলো মুসলধারে বৃষ্টি। মেঘার মুখে অট্ট হাসি। চোখ বুঝে দু হাত প্রসারিত করে বৃষ্টির পানির স্পর্শ অনুভব করছে। ওর লম্বা চুল গুলো…
হঠাৎ কারো ডাকে ফিরে তাকালো নিশি,,,সামনে দাঁড়ানো মানুষটাকে দেখে আরো বিরক্ত লাগছে নিশির,,,সাইম,, নীরার বরের ফ্রেন্ড,,,রেস্টুরেন্টে জিজুর সাথে দেখা করতে গিয়ে এই ছেলের সাথে দেখা হয় নিশির।।সেইদিন থেকে নিশিকে জ্বালিয়ে মারছে।।সাইমকে দেখেই বিরক্তিতে চোখ-মুখ কুঁচকে ফেললো নিশি।।ব্যাটা ফাজিল,,ফ্রেন্ডের শশুড়বাড়ি আসছিস ভালো কথা,,আশেপাশে নজর দেস কেন??যত্তসব আবাল জনগন,,,।নিশু,,কেমন আছেন??।মহা ভালো আছি,,(যন্ত্রনায় বাঁচি না। বলে কি না কেমন আছি?আরে তোর গলা চেপে দিতে পারলে শান্তি পেতাম,,, মনে মনে)।আমাকে জিগ্যেস করলেন না তো,,, আমি কেমন আছি??।আপনাকে দেখে তো কোনো এংগেল থেকেই খারাপ মনে হচ্ছে না,,,শুধু শুধু জিগ্যেস করতে যাবো কেন??(বিরক্তি নিয়ে)।বাহ,,,আপনি আমাকে অনেক ভালো বুঝেন,,সত্যি আমি অনেক ভালো আছি,,,আপনাকে দেখার পর থেকে আরো…
মাঝ রাত্রে একজন স্টাফের চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেলো সবার।২০৯ এর মেয়েরা বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।কথা, লিরা এবং শেফা বারান্দায় এসে দাড়ালো।স্টাফের নাম আব্দুর রহমান, উনি এসে বারান্দার ফ্লোরে পড়ে গেলো।মেয়েরা তাড়াতাড়ি করে মেট্রন কে খবর দিলো।মেট্রন এসে আব্দুর রহমান কে নিয়ে গেলো।পরে সবাই জানতে পারলো আব্দুর রহমান নাকি কি একটা দেখেছে তিন তলায় উঠার সিড়িতে।তাই ভয় পেয়ে বেচারার এই অবস্থা।লিরা রুমে এসে বসল, ওর মুখে রাগী রাগী ভাব ফোটে উঠল।শেফা লিরাকে লক্ষ করলো।কাছে এসে বসল, লিরার হাতের উপর হাত রেখে কোমল কন্ঠে বলল,”কি হয়েছে তোর? তোর মুখটা এমন লাগছে কেনো?লিরা বলল,”সবাই মিলে কি শুরু করেছে দেখ!শেফা বলল,”কেনো কার আবার কি…
” ঝিনুক এখন থ্যাংকস জানানোর সময় নয় দ্রুত গাড়িতে উঠো যে কোন সময় সমুদ্র মির্জা এসে পড়তে পারে “পূর্ণতা গাড়িতে উঠে বসতে ঝিনুক গাড়িতে উঠতে যাবে তখনি পেছন থেকে ঝিনুকের হাতটা চেপে ধরে ৷ ঝিনুক ভয়ে ভয়ে ঘাড় ঘুড়িয়ে পিছুনে তাকাতে ঝিনুকের হাত পা কাঁপতে লাগলো ৷ মিসাম সমুদ্রকে দেখে গাড়ির দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে ঝিনুককে না নিয়ে পূর্ণতাকে নিয়ে গাড়ি ফুল স্পিডে চালিয়ে বেরিয়ে গেল৷ এদিকে সমুদ্রকে দেখে ঝিনুক ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ৷চোখে মুখে পানির ছিটে পড়তে ধরফরিয়ে উঠে বসে ঝিনুক৷ চারিদিকে তাকিয়ে দেখে সে সমুদ্রের রুমে আছে ৷ রুম দেখে মনে হচ্ছে বড় কোন সাইক্লোন বয়ে গেছে…