Author: চণ্ডী দাস
তিতিরঃ কি হলো স্যার আপনার মাথা ঘুরছে??ওয়েট আপনার সব সন্দেহ ক্লিয়ার করছি।”সেদিন পার্টিতে আমি শাড়ি ঠিক করার জন্য আমি আপনার রুমে যায়।হটাৎ একটা ফোন আসে।অতীত…….. মাস্টার মাইন্ডকিরে কার ফোন বাজছে?এটা কার ফোন(মোবাইল হাতে নিয়ে)ওহহ মনে পড়েছে এটা তো মিনিস্টার স্যার এর ফোন। এক কাজ করি কলটা ধরে দেখি।।তিতির কল টা ধরলো কিন্ত কিছু বলার আগে অপরপাশ থেকে বলতে শুরু করলো-” স্যার ঐ লোক তো মারা গেছে। তার ভাই আসছে, বলছে টাকা না দিলে সবাইকে বলে দিবে আপনি টাকা দিয়ে নকল হামলা প্লান করেছেন।আর আপনি যে ডেভিল তাও বলে দিবে কি করবো এখন?স্যার!স্যার!তিতির ফোনটা রেখে দিলো। মাস্টার মাইন্ডতিতিরঃ তার মানে মিনিস্টারই…
কথা আর কিছু বলেনা……কথা জুস অর্ডার করে…আর কিছু খাবার….এটা রকস্টারকে জব্দ করার একটি প্ল্যান মাত্র….জিসান একটি মুচকি হাসি দেয়….কথা খাবার আসার পর চেয়ে থাকে জিসানের দিকে যে কিভাবে খায় মুখোশ খোলা ছাড়া..জিসান ও কম যায় কিসে জিসানের মাস্কটির দুইভাগে ভাগ করা নাকের উপরেরটুকু এক পার্ট আর নিচের টুকু এক পার্ট জিসান নিচের টুকু খুলে কথা আর বাকি দুইজনের বাড়া ভাতে যেন পানি ঢেলে দিলো জিসান….জিসান এখন খাচ্ছে কিন্তু চেহারা না দেখিয়ে……আর কথা আর বাকি দুইজন মন খারাপ করে বসে আছে…..জিসান ব্যাপারটা লক্ষ করেছে কিন্তু সে চাইলেই তার ট্রু আইডেন্টিটি সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেনা ।ওর উপর অনেক দ্বায়িত্বঅনেক লোকের ভরসা…
–একটু আগেইতো রেগেমেঘে ছিলি,হঠাৎ আবার কি হলো?–আগুনের মাঝে বৃষ্টির স্পর্শ।–মানে?–মেঘা।–তাহলে কর্নফার্ম?–হুমম।কিন্তু একটু প্রবলেম আছে।–এখন আর কোনো প্রবলেমের কথা শুনতে চাই না।–ঠিক আছে।আমি না হয় আমার সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজি।–কয়টা সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজবি তুই?–ওয়েট,ওয়েট, মুন্নির হাজবেন্ট কি করে রে?–সে ঢাকাতে চাকরি করে।ছুটি পেলে এই বাড়িতে চলে আসে নিজের বাড়িতে যায় না।–ওর বাবা মা নেই?–আছে তো। ঐ যে মুন্নী।–মুন্নী কি সারাবছর এই বাড়িতে থাকে?–হুম।–আচ্ছা তাহলে একটা কথা বলতো, মেঘ চরিত্রটাকে মুন্নী হত্যা করতে চাইছে কেন?–বলবো?–তোর ইচ্ছে।–আচ্ছা একটু বলি,বেশি বলতে পারবো না।–বল শুনি,–এই বাড়ি পুরোটা ফুপির। আর আশেপাশে সব সয় সম্পত্তিও ফুপির। ধরতে গেলে আমরা সবাই তার উপর নির্ভশীল হয়েই বেঁচে আছি।অবশ্য…
নিলয় অবাক দৃষ্টিতে নিশির দিকে তাকিয়ে আছে,,,,মেয়েটার শরীরের প্রতিটি কনায় কনায় যেন মায়া জড়ানো,,যে মায়ায় নিলয় হারিয়ে যেতে চায় প্রতিনিয়ত।।।নিশির বলা কথাগুলো নিলয়ের কানে এখনো কড়া নেড়ে যাচ্ছে,,,আজ নিলয় ভীষন খুশি,,,তার মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব সুখ কেউ পরম আদরে ওর ঝুলিতে ঢেলে দিয়েছে ।।নিলয় এবার নিশিকে ছেড়ে ওর থেকে দু’পা পিছিয়ে গিয়ে নিশির দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসতে লাগলো,,,নিলয়কে হাসতে দেখে নিশি ভ্রু কুঁচকে তাকালো।।কি ব্যাপার এভাবে তাকি,,,,,এটুকু বলে নিলয়ের চোখ অনুসরন করে নিজের দিকে তাকাতেই চমকে উঠলো নিশি,,,একি?নিশির গায়ে তো উড়না নেই,,,আর নিলয় তার উন্মুক্ত বুকের দিকেই এভাবে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে।।নিশি তাড়াতাড়ি উল্টো ঘুরে গেলো।ছি ছি,,,নিজের প্রতি তার প্রচন্ড…
লিরা এখন আর আসে না হোস্টেলের ২০৯ নাম্বার রুমে।শেফা রোজ রাতে জানালা খুলে রাখে লিরার জন্য।কিন্তু লিরা আসে না।লিরার কাছ থেকে সব রহস্য উদঘাটন করতেই হবে যেভাবেই হোক।লিরা কি বলে গেলো আর কেনোই বা বলে গেলো তা আজো অস্পষ্ট শেফার কাছে।যদি শেফা-ই খুন করে থাকে তাহলে প্রথম খুন টা কে করেছে?আর লিরা কে! কি লিরার পরিচয় এই সব কিছু জানতে হবে আগে।শেফা মনস্থির করলো হোস্টেলের স্টাফ মর্জিনা খালার কাছ থেকে লিরার সম্পর্কে কিছু তথ্য নেওয়া যেতে পারে।শেফা শোয়ে শোয়ে এসব ভাবছিলো।ভাবনার মাঝে কারো পদ ধ্বনি শোনতে পেলো।মাথাটা ঘুরিয়ে তাকালো শেফা, ক’থার হাসোজ্জ্বল মুখটা ভেসে উঠলো শেফার চোখের সামনে।কথা লিরার পাশে…
ঝিনুক আর দারালো না ফোনটা হাতে নিয়ে খোলা চুলে বেরিয়ে গেল রুম থেকে ৷ নিচে নামতে নামতে ভাবতে লাগলো দরজা তো খোলা ছিলো না তাহলে দরজা কি করে খুলে গেল? আর ফোন শাড়ি এগুলো কখন সাইকোটা নিয়ে আসলো? ভাবতে ভাবতে মেইন দরজা পেরিয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখে সমুদ্র অলরেডি এসে পরেছে৷ ব্লাক শার্ট ডেমিন প্যান্ট , শার্টের হাতা গোটানো৷ হাতে কালো মোটা চামড়ার দামী ঘড়ি সবুজ চোখ জোড়া সানগ্লাস দিয়ে ঢেকে রাখা , পায়ে শু৷ জেল দিয়ে চুল গুলো সেট করা তবুও কপালে ছোট ছোট চুল গুলো ছড়িয়ে আছে৷ কাপালে দুটো ভাজ পড়ে আছে ৷ সমুদ্রের থুতুনিতে গাঢ় কালো তিল ৷…
পৌষীকে নিয়ে মাথা থেকে চিন্তা ফেলে ফেবুতে প্রবেশ করলো উষ্ণ । ডানা কাটা পরীর আইডিতে একটি কবিতা আপলোড হয়েছে—-ক্লান্ত যখন মন তোমার কাঁধে মাথা,মন চাইছে চাঁদ দেখবো,নেই তো কোনো বাঁধা।তবুও মনকে প্রশ্ন করি কোথায় আমার তুমি।সত্যি বলতে তোমার খোঁজ,পাইনি এখনও আমি।কবিতাটি পড়ে উষ্ণ ইনবক্স করলো আইডিতে -কি খবর পরী ম্যাডামের? উষ্ণ মাহমুদ কাউকে নিজ থেকে মেসেজ করে! জানা ছিলোনা ।-আপনি আমাকে কতোটুকুই বা চিনেন?-যতোটা চিনলে একজন মানুষের সাথে সারাজীবন কাটিয়ে দেয়া যায় ।মেসেজটি পেয়ে চমকে উঠলো উষ্ণ । আজ এই কথাটি তাকে পৌষীও বলেছে ।পৌষীর চিন্তা মাথা থেকে ফেলার জন্যই পরীর সাথে চ্যাটে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চেয়েছে । কিন্তু পরীর…
তিতির এর গাড়ি থামলো একটা বাড়ির সামনে। পুরানো বাড়ি। ঝোপঝাড়ে ঘেরা।এক প্রকার রাজবাড়ির মতো।তিতির ধীরে ধীরে বাড়ির দরজার সামনে আসলো।দরজার সামনে ৩জন লোক ছিলো।তিতির লোকদের বললো “রহস্যে ভরা পৃথিবী, কেউ নয় আপন,সবাই হলো পর।” বলার সাথে সাথে লোক গুলো দরজা খুললো। তিতির ভিতরে ঢুকলো।তিতির হাটতে লাগলো তিতির এর সামনে একটা বড় ঘর।সেখানে অনেক লোক। সবার হাতে বন্দুক।তিতির ধীরে ধীরে হাটছে। তিতির দেখতে পেলো একটা চেয়ার যাতে একজন বসে আছে।মুখ অন্যদিকে ফেরানো।তিতিরঃকাজ হয়ে গেছে। আমি আপনার কথামতো কাজ করেছি।সবাইকে মেরে ফেলেছি।আর ব্লু প্রিন্ট ও এনেছি।চেয়ারে বসা লোকটি এতক্ষন চুপ ছিলো।এবার উঠে দাড়ালো।এরপর তিতির এর দিকে তাকালো।আর জোড়ে জোড়ে হাসি দিলো।তিতিরও হাসলো।তিতিরঃস্যার…
জিসান কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা যেখানে সারাদুনিয়ায় তার টিমমেট বন্ধুরাও জিসানকে অতটা ভালো করে চেনেনা সেখানে এই মেয়ে কিভাবে….. আপনি কাল সকালে ……..রেসটুরেন্টে আসবেন নইলে খবর আছে?জিসানঃ আমি কেন আসতে যাবো?না আসলে খবর আছে…..জিসান এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা….কি করা উচিৎ জিসানের যাওয়া /না যাওয়া……জিসান অনেক ভাবনা চিন্তার পর এই সিদ্ধান্তে পৌছালো যে সে জাব…….কেনোনা জিসান এই মেয়েকে ভালবাসে।জিসান এমন ভাবে যাবে যাতে চিনতে না পারে……চিনে ফেললে সমস্যা অনেক বড় সমস্যা…..সৃষ্টি হবে…..তাই স্বিদ্ধান্ত নিলো যে মাস্ক পরে যাবে যাতে চিনতে না পারে….সকালে,জিসান তৈরী কিন্তু অন্যরকম সাজেসারা দুনিয়ার মানুষ তাকে যেভাবে চিনে সেভাবে….নাএক অন্য রকম সাজে …..মানে রকস্টার এর বেশেসাইবার ওয়ার্ল্ড…
–এই থানার এস আই আছে না?–হুম।।–ওনি আমার একজন বেষ্ট ফ্রেন্ডের বড় ভাই। ওনি গত ৪ বছর ধরেই এই থানায় আছে।সাপ্তাহে কম পক্ষে ৫বার এই বাড়িতে আসে। অবশ্য ফুপির কাজের জন্যই আসে।ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ফুপির পুরোনো পি এ, আর পি এস এর কথা। তারপর ওনি বলে তাদের মৃত্যুর কথা।–আচ্ছা খুঁনিকে ধরতে পেরেছিলো কিনা বলেনি?–পারেনি। তাদের পরিবার থেকেও কেউ গুরুত্ব দেয়নি আর উপযুক্ত প্রামানও পায়নি।–আমার কাছে সব হিসেব এখন পানির মতো ক্লিয়ার।–কিসের হিসাব?–দুই বছর আগে যখন আম্মু আব্বুর কাছে যায়, তখন নিশ্চয়ই তার পিএস আর পিএ সাথে ছিলো। না হয় জানতো যে আম্মু ঢাকায় আব্বুর কাছে যাবে।আর সেদিন আম্মু আব্বুকে কোনো কারন…