Author: চণ্ডী দাস
রুম নম্বর ২০৯ | সিজনঃ ১ | পর্বঃ ১০ চিরকুট হাতে নিয়ে শেফা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল।শুধু মাত্র লিরার জন্য কথা’কে মরতে হলো।লিরাকে কিছুতেই ক্ষমা করব না।ওর পাপের শাস্তি আমি ওকে দেবোই।চোখের জলে শেফার গাল ভিজে গেছে।একটি ঠান্ডা ধমকা হাওয়া জানালার পর্দা ভেদ করে শেফার চুল ছুয়ে দিলো।শেফা চোখ তুলে তাকালো জানালার দিকে।শুভ্র সাদা পবিত্র কিছু ধোয়া একত্র হয়ে শূন্যে ভাসমান অবস্থায় কথা’র প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠলো।কথার হাসোজ্জ্বল মুখটা দেখে শেফা দৌড়ে গেলো কথা’র কাছে।কথা’র ধোয়াটে শরীরের মুখে হাত বুলালো।কিন্তু স্পর্শ করতে পারল না, স্বচ্ছ কাচেঁর মতো শরীর।কথা সমুধুর কন্ঠে বলল, “তুই কোন চিন্তা করিস না।অশুভের বিনাশ যুগ যুগ ধরেই হয়ে আসছে,…
সন্ধ্যে বেলার তুমি | পর্বঃ ১০ পুরনো মুহূর্তের কথা ভাবতে ভাবতে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো ঝিনুকের কিন্তু বেশিক্ষন আর এই হাসি মুখে থাকলো না মিলিয়ে গেল দূরে দারিয়ে থাকা মানুষটিকে দেখে.. ” পূর্ণ! পূর্ণ এখানে? তাহলে ওই ভিডিও টা?” গেটে পূর্ণকে দেখে ঝিনুকের সব তাল গোল পাকিয়ে যাচ্ছে ৷ পূর্ণ এখানে থাকে তাহলে সমুদ্র যে ভিডিওতে দেখালো পূর্ণ তার কাছে বন্দি তাহলে কি সব মিথ্যে ছিলো? ঝিনুক কিছু ভাবতে পারছে না ৷ ঝিনুক পূর্ণকে হাতের ইশারা করতে লাগলো৷ পূর্ণতা এতোক্ষন অপেক্ষা করছিলো ঝিনুক কখন ওকে দেখবে ৷ আর দেখা মাত্র পূর্ণতা তার ফোন দেখিয়ে ইশারা করলো৷ ঝিনুক বুজতে পারলো…
আরো প্রায় ত্রিশ মিনিটের মতো কেটে গেলো । পৌষী ও মুহিতের কোনো খবর পাওয়া গেলোনা ।ফাহাদ বাড়ির বাইরে এসে আশেপাশে খুঁজে দেখছে ৷আর নিজের রুমে পায়চারী করছেন মিয়াজ শেখ । দুজনের জন্যই চিন্তা হচ্ছে তার । স্ত্রী আমেনাকে এই বিষয়ে কিছু জানাননি । নতুবা তিনিও দুশ্চিন্তা করতে শুরু করবেন ।এরইমাঝে ফোনের রিং টোনের শব্দে ঘোর কাটলো মিয়াজ শেখের । অপরিচিত নাম্বার দেখে রিসিভ করে বললেন-আসসালামুআলাইকুম । কে বলছেন? মুখোশের আড়ালেওপাশ থেকে বললো-বাবা আমি মুহিত বলছি ।-মুহিত! পৌষী এখনো বাসায় ফিরেনি কেনো? আর তুই এতোক্ষণ বাইরে কি করছিস? বাসায় ফোনটাও রেখে গেলি ।-বাবা আসলে ছোট একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে।-এক্সিডেন্ট! ঠিক আছিস তুই?-আমি…
ধীরে ধীরে চোখ খুলছে তিতির।চোখগুলো খুব ভারি লাগছে।চোখ খুলে তাকাতেই তিতির খুব ব্যাথা অনুভব করলো।চোখ খুলে সামনে তাকাতেই দেখলো সবাই ওর দিকে তাকিয়ে আছে।তিতির এর চোখ তিতাস এর দিকে গেলো।চোখগুলো লাল হয়ে রয়েছে।মনে হচ্ছে খুব কেঁদেছে।সবার মুখে তিতির এর জ্ঞান ফিরে আসায় খুশির ঝিলিক দেখা গেলো। মাস্টার মাইন্ডতিতিরঃকি হয়েছে আপনাদের সবাইকে দেখতে এমন কেনো লাগতাসে? কেউ মরে গেছে?এক একটা পেঁচার মতো মুখ করে রাখছোস?😒😒😒😒সবাই অবাক তিতির এর এমন কথায়।প্রিয়াঃকি বলতাসস তুই? তুই এখন হসপিটালে😦😦তিতিরঃহুমম জানি তো। তুই কি ভাবছস আমি ফিল্ম এর মতো বলমু আমি কোথায়?কে আমি? আপনারা কারা এসব?বুকে গুলি লাগছে মাথায় না। আর এতো কান্না করার কি আছে…
জিসান পুরো কম্পিউটার দুটি হ্যাক করে সকল ডেটা তার সার্ভারে কপি করে আনে।সবাই মিলে ঘাটতে থাকে কিছু প্রমান পাওয়া যায় যদি সেই আশায়…..সবাই মিলে দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলে।এখন সবটা ক্লিয়ার ওদের কাছে মেয়েটির কোন বহিরাগত যোগাযোগ নেই কিন্তু ১৩ তারিখ রাতে একটি ভিডিও কলে কথা বলে মেয়েটি তার পর থেকে তার কাছে বিভিন্ন কল আসতো মেয়েটি তাদের বিভিন্ন বেনামি একাউন্টে টাকা পাঠাতো…..এখন মেইন কাজ হলো এদের পিছনে যে আছে তাকে খুজে বের করা….. হ্যাকার দ্যা রকস্টারজিসান কথা মানে হ্যাকার গার্লস এর লিডার কে ইনফর্ম করে যে সাবধানে থাকতে কারন হ্যাকাররা যারা খুন পর্যন্ত করতে পারে এতো নিখুতভাবে তারা কতাটা…
আমি গালিবের দিকে তাকাচ্ছি, গালিব আমার দিকে তাকাচ্ছে। মটুর রুমে আছি দুজন। ফ্লুরের মাঝে রক্ত দেখা যাচ্ছে। মটু নাকি মামার সাথে হসপিটালে যাচ্ছে । কিন্তু ওর রুমে রক্ত আসবে কি করে?–মেঘ ওর ফ্লোরে রক্ত–এমনো হতে পারে সে ঘটনার পর সেখানে গিয়েছে।আর আহত মামিকে ধরার পর ওর শরীরে লেগেছে।–দেখ দেখ, একটু দূরে দূরে রক্তের ফোটা।বোঝা যাচ্ছে যে সে রক্ত গুলো মুছতে চেয়েছিলো।–এবার সন্দেহ জনক।কারন মটু যে রক্তু গুলো মুছতে চেষ্টা করছিলো সেটা স্পষ্ট।তরিঘরি করে সব গুলো রক্ত মুছে শেষ করতে পারেনি।এমন সিচুয়েশনে মানুষের মাথা কাজ করে না। মেঘমিলন –রাইট।সে যদি কিছু নাই করতো তাহলে রক্ত মুছতে চাইবে কেন?–দেখতো রক্ত আর কোথায়…
ঠাসসসসসসসসসস্,,,,,,,তোমার কোনো ধারনা আছে,, আমি কতটা টেনশনে ছিলাম??সারাটা দিন খাওয়ার কথাটা পর্যন্ত একবার মনে হয় নি,,,,শুধুমাত্র তোমার টেনশনে। শহরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তোমাকে খুজি নি,,,,,আর তুমি??এখানে অন্য আরেক ছেলের হাত ধরে ফষ্টিনষ্টি করছো??(চিৎকার করে)হাউ ডিয়ার ইউ??? তোর সাহস কি করে হলো অন্য ছেলের হাত ধরার??(বলেই নিশির দুই গাল শক্ত করে চেপে ধরলো,,,নিশি ব্যাথায় কুঁকিয়ে উঠলো)কেটে রেখে দিবো,,,তোকে বলি নি আমি??যে তুই শুধু আমার,,,বল বলি নি?? তুমি আছো তাইবলেই নিশিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পাশের টেবিলে জোড়ে লাথি মারলো,,,,,নিশি ভয়ে কেঁপে উঠলো,,,নিলয়ের এই ভয়ংকর রূপ নিশি কখনো দেখে নি,,,এর আগেও রাগ করেছে,,,কিন্তু এতোটা ভয়ংকর কখনো না।।নিলয় নিশিকে টেনে আবার…
রাত বেড়েছে, ঘড়ির কাটায় ২টা বেজে গেলো ডং করে।আজ গরমটা একটু বেশীই তার উপর বিদ্যুৎ নেই।বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা বলে কথা।একবার গেলে দুইদিন আসার নাম নেয় না।আজও তেমন হয়েছে।শেফা এবং কথা দুজনে মিলে বাহিরে এলো।বাহিরে যা একটু ঠান্ডা লাগে কিন্তু রুমের ভেতরে ঢুকলেই একটা গরম বাতাস শরীরে এসে লাগে।হল রুম বলে হয়তো এরকম টা লাগে।অনেক মেয়ে এক সাথে থাকে।যেখানে মানুষ বেশী সেখানেই গরম বেশী।শেফা এবং কথা দুজনে বারান্দায় এসে দাড়ালো।দুজন মিলে গল্প করছে।একে অপরের শৈশবের কথা গুলো বলছে।দুজন খুব উপভোগ করছে এই সময়টা।কিছুক্ষনের জন্য ভুলে গেলো হোস্টেলের ভয়ংকর সেই ঘটনাগুলো। রুম নম্বর ২০৯কথা বলল,”জানিস আমি যখন ছোট ছিলাম তখন খুব দুষ্টুমি…
সমুদ্র রুমে এসে তৈরি হয়ে বেরিয়ে গেল ৷ সমুদ্র চলে যেতে যেতে ঝিনুক উঠে বসে ৷ ঝিনুকের ঘুম অনেকক্ষন আগে ভেঙে গিয়েছিলো কিন্তু উঠেনি সমুদ্রের জন্য তবে বেলকনিতে দারিয়ে কিছু কথা ঝিনুকের কানে এসে পৌছায় ৷ আজ কার কপালে মৃত্যু নাচছে কে মরবে এটা ভেবে ঝিনুক ঘামতে লাগলো এসি চলা সত্যেও…….ঝিনুক উঠে ফ্রেস হয়ে ত্রিপিস পড়ে নিয়ে রুম থেকে বের হতে যাবে তখনি মনে পরে সমুদ্রের বলা কথাটা “এই রুম থেকে বের হওয়া তার জন্য নিষেধ” অগ্যতা ঝিনুক পুরো রুমে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো ৷ দামী দামী সোপিচ আসবাবপত্র ফ্লাওয়ারবাজ, অর্ধেক দেওয়াল জুড়ে তার আর সমুদ্রের একটা ছবি ৷ তবে…
দরজায় তালা লাগানো বিধায় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে ফাহাদ ।পৌষী এসে ফাহাদকে দেখে চমকে গেলো ।আমতাআমতা করে বললো-আজও আপনি তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছেন?শান্ত স্বরে ফাহাদ বললো-যদি না আসতাম, তাহলে তোমার ভিন্ন রূপ সম্পর্কে কিভাবে অবগত হতাম?-মানে?পৌষীর খুব কাছে এসে ফাহাদ বললো-উষ্ণের সাথে কি সম্পর্ক তোমার?-কি সম্পর্ক মানে?-কথা ঘুরিয়ে লাভ নেই । আজ আমি তোমাকে উষ্ণের সাথে দেখেছি ।-তো?-তো মানে! আমি যখন বলেছি বাইরে কোথাও যাবো, তখন বলেছিলে তোমার ক্লান্ত লাগছে ।তবে এখন তোমার ক্লান্তি গেলো কোথায়?দাঁতে দাঁত চেপে পৌষী বললো-বাহ! আজ আপনার আমাকে নিয়ে এতো অভিযোগ । কই! এই চারমাসে কোনো অভিযোগ আমি করিনি! তবে আপনি কেনো করছেন? আমি যাই করে…