বলেছি বলছি বলব – শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের অনবদ্য নেতৃত্বের ইতিহাস
সচরাচর নেতার ভূমিকা নির্ণয়ে সর্বাগ্রে ভাষণদানরত ব্যক্তিত্বের ছবিই চোখে ভাসে। দেশের রাজনীতিতে তেমন সংযােগ সত্ত্বেও ১৯৬৬-তে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের একটি আত্মগত জিজ্ঞাসাই অক্ষরের মাত্রায় বিন্যাস পায়। অতীতে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে মুসলিম-অধ্যুষিত পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা হলেও পূর্বাংশের অধিবাসী ছিল শোষিত। আর প্রতিরোধে আগে আগে যে ভাষাটা চাই! ওদিকে বাঙালির বুলি থামাতে স্বৈরশাসক হত্যাযজ্ঞই চালায়। পরিণতিতে ‘৫২-র ভাষা আন্দোলন পাই।
শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম
শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে তিন তিন বার সভাপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক বঞ্চনার রাহুগ্রাসে নিপতিত বাঙালির বহু গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন তখন অগ্রনায়ক হয়ে উঠেছিলেন। তারই ক্রিয়ায় ভীত শাসকচক্র নেতাকে বারেবারেই জেলে পাঠায়। সময়ের ঢেউ ভাঙার ওই নির্দয় প্রহরে ষড়যন্ত্রের অতল পেতে যন্ত্রণাক্ত লেখক কলমে কলমে অন্য এক তপস্যাই ফলান।
স্বাধীনতা আন্দোলনে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের ভূমিকা
সেলের নির্জনতায় সেই উপলব্ধজাত বিষয় পরবর্তীতে তাঁর “নিত্য কারাগার” গ্রন্থটিতে অপূর্ব সারিবদ্ধ রূপ পায়। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের ধ্বনি ওঠে। শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন তখন ছিলেন মুজিবনগরের অন্যতম সংগঠক। ভারতীয় পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে স্বাধীন বাংলার ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত আর অবশ্যম্ভাবিতার ব্যাখ্যাই তুলে ধরেন। মননশীল চিন্তা এবং যুক্তিরধারে মথিত নেতার সেই বক্তৃতামালা স্বাধীনতার ইতিহাসে অমূল্য সম্পদ। অবশেষে লাখো শহীদি ক্ষরণের আর্তিতে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
উত্তর পর্বে পৌঁছে দেশ পুনর্গঠনে নেতার রাজনীতি মানুষের ঘাটে ঘাটেই নিবেদিত হয়েছে। অথচ শাসনের কূটচালে স্বভূমেও তিনি হলেন কারাবাসী। ক্রমে ক্রমে নিকটজনের কাছেও তাঁর ‘জেলবোর্ড’ আখ্যা জোটে। শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের এই কালাকাল প্রায় অর্ধ শতাব্দীরই অধিষ্ঠান। শুধু সময়ের পরিমাপেই নয়, আমাদের রাজনীতিতে নেতার প্রত্যক্ষ-গোচরও বহুতর।
বলেছি বলছি বলব – ইতিহাসের পথে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মৃতি
“বলেছি বলছি বলব” বইটি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ নয়, বরং একটি প্রজন্মের সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। বলেছি বলছি বলব বইটির প্রতিটি পাতা বাঙালির ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে আজকের এবং ভবিষ্যতের পাঠকদের সামনে উপস্থিত হবে। শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের জীবন, নেতৃত্ব, এবং সংগ্রামের এই বর্ণনা প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে জাগ্রত করবে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা।