” ঝিনুক এখন থ্যাংকস জানানোর সময় নয় দ্রুত গাড়িতে উঠো যে কোন সময় সমুদ্র মির্জা এসে পড়তে পারে “
পূর্ণতা গাড়িতে উঠে বসতে ঝিনুক গাড়িতে উঠতে যাবে তখনি পেছন থেকে ঝিনুকের হাতটা চেপে ধরে ৷ ঝিনুক ভয়ে ভয়ে ঘাড় ঘুড়িয়ে পিছুনে তাকাতে ঝিনুকের হাত পা কাঁপতে লাগলো ৷ মিসাম সমুদ্রকে দেখে গাড়ির দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে ঝিনুককে না নিয়ে পূর্ণতাকে নিয়ে গাড়ি ফুল স্পিডে চালিয়ে বেরিয়ে গেল৷ এদিকে সমুদ্রকে দেখে ঝিনুক ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ৷
চোখে মুখে পানির ছিটে পড়তে ধরফরিয়ে উঠে বসে ঝিনুক৷ চারিদিকে তাকিয়ে দেখে সে সমুদ্রের রুমে আছে ৷ রুম দেখে মনে হচ্ছে বড় কোন সাইক্লোন বয়ে গেছে রুমটার উপর দিয়ে ৷ হঠাৎ হাতে ব্যাথা লাগতে পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে সমুদ্র তার ব্যাথা হাতটায় ঘামচে ধরে আছে৷ সাদা ব্যান্ডেজ রক্তে ভিজে লাল হয়ে আছে৷ ঝিনুক সমুদ্রের চোখের দিকে তাকাতে ঝিনুকের কলিজা যেন কেঁপে উঠলো ৷ অসম্ভব লাল হয়ে আছে দু’চোখ জোড়া ৷ হঠাৎ করে সমুদ্র ঝিনুকের গাল শক্ত করে চেপে ধরে বলে উঠলো “” খুব শখ না পালানোর? আমার থেকে পালাতে চাইছিস এই আরফান সমুদ্র মির্জার থেকে তুই পালাতে চাইছিস? তোর কি মনে হয় এতো সহজ এই আরফান সমুদ্র মির্জার থেকে মুক্তি পাওয়া৷ তুই পালাতে চাইবি আর আমি জানতে পারবো না হাহ! এটা কোন দিন সম্ভব নয় ৷ তুই কি ভেবেছিলি দরজা লক এমনি এমনি খোলা রেখেছি? নাহ কারন আমি আজ তোকে পরীক্ষা করার জন্য আমি দরজা লক করেনি ৷ কিন্তু দেখ সেই তুই পালাতে চাইলি ৷ নেভার মাইন্ড আজ তোকে এমন শিক্ষা দিবো যে পালিয়ে যাওয়ার কথা কল্পনাতেও ভাবতে পারবি না ৷ “
কথা গুলো বলতে বলতে সমুদ্র কোমড় থেকে চামড়ার বেল্টটা খুলতে লাগলো ৷ ঝিনুকের চোখে মুখে আতঙ্ক ৷ ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে ঝিনুকের৷ সমুদ্র ঝিনুকের হাত ধরে টেনে ফ্লোরে ফেলে বেল্ট দিয়ে মারতে থাকে সমুদ্র ৷ ফর্সা শরীলে বেল্টের মার গুলো স্পষ্ট ফুটে উঠছে৷ বেল্টের প্রত্যেকটা আঘাতে ঝিনুক চিৎকার করে কান্না করছে আর ক্ষমা চাইছে ৷ তবুও সমুদ্রের মন বিন্দুমাত্র বিগলিত হয়নি৷ বরং মারের মাত্রা দ্বিগুন বেড়ে গেছে ৷ রাগে হিংস্র রুপ ধারন করেছে সমুদ্র ৷ দরজার ওপাশে দারিয়ে আছে আশরাফ মির্জা ,সোহিনী মির্জা, সাফাদ দরজা ধাক্কাচ্ছে কিন্তু সমুদ্রের সে দিকে কোন খেয়াল নেই ৷ সমুদ্র ঝিনুককে মারতে ব্যাস্ত ৷ মারতে মারতে বেল্ট ছিড়ে গেলে সমুদ্র এদিক ওদিক তাকিয়ে অন্য কিছু খুজতে লাগলো ৷ কাদতে কাদতে ঝিনুকের গলা বসে গেছে ৷ গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বের হচ্ছে না তবুও কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো ” প্লিজ আর মারবেন না আমি কথা দিচ্ছি আর কখনো পালানোর চেষ্টা করবো না৷ “
“” সে সুযোগ তুমি আর পাবে না প্রিন্সেস ৷” সমুদ্র কাবার্ড থেকে একটা লোহার শিকল বার ঝিনুকের সামনে হাটু গেড়ে বসে ঝিনুকের পায়ে শিকল পড়িয়ে দিয়ে বলতে লাগলো ৷ ” এখন তুমি চাইলেও আমার থেকে পালাতে পারবে না ৷ তবে ভেবো না তোমার শাস্তি এখানে শেষ নয় যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ প্রিন্সেস ৷ “” কথা টা বলে দরজা খুলে বের হয়ে বাইরে থেকে দরজা লক করে আশরাফ মির্জা কে বলতে লাগলো” তোমরা এখানে কি করছো?” রাগি গলায় বললো সমুদ্র ..
” আমরা এখানে কেন এসেছি তা তুমি খুব ভালো করে জানো ৷ মেয়েটার সাথে তুমি এমন নির্মম নির্যাতন না করলেও পারতে৷”
” আমি কি করবো কি করবো না সেটা আপনার থেকে শিখবো না মিস্টার আশরাফ মির্জা ৷ এখন এখান থেকে বিদেয় হন নাহলে “”
” নাহলে কি সমুদ্র ? বলো কি বলবে ৷ আমার এখন নিজের উপর ঘৃনা হচ্ছে তোমার সন্তানকে জন্ম দিয়ে ..”” (মিসেস সোহিনী)
” তাহলে ভুলে যান সমুদ্র নামে আপনার কোন সন্তান ছিলো৷ “
” স্টপ ইট ভাই আর মম ড্যাড প্লিজ তোমরা এখান থেকে চলো ৷”
সাফাদ তার মম ড্যাড কে হাত ধরে টেনে সমুদ্রের সামনে থেকে নিয়ে আসে৷ সমুদ্র সোজা কিচেনে গিয়ে ছোট একটা নাইফ নিয়ে আগুনে গরম করতে থাকে ৷ সাফাদ দুরে দারিয়ে সবটা দেখছে ৷ তার ভাইয়ের এমন পাগলামি হিংস্রতা যে সে থামাতে পারবে না এটা খুব ভালো করে জানে সাফাদ ৷
” উফফ আর কতো কান্না করবে পূর্নতা এবার তো থামো ৷ তুমি কান্না করলে কি সমুদ্র মির্জা ঝিনুককে ফিরিয়ে দিয়ে যাবে?””
“” কিন্তু ভাইয়া ওই পাগলটা নির্ঘাত এবার আপুকে মেরে ফেলবে ৷ তুমি কেন আপুকে সাথে নিলে না?”
” আর ইউ ক্রেজি পূর্ণতা তুমি জানো তখন যদি তোমাকে নিয়ে না বের হতাম তাহলে হয়তো তোমাকে আমাকে ওখানে কবর দিয়ে দিতো৷ বাচিয়ে রাখতো না ৷ এখন আমাদের ভাবতে হবে কি ভাবে ঝিনুককে ওই পাগলের হাত থেকে বাঁচানো যায়৷ “
” এটা এখন অসম্ভব ভাইয়া৷ সাইকো পাগল টা এবার এমন কিছু করবে যাতে আপু ওই বাড়ি কেন রুম থেকে বের হতে পারবে না ৷ “
” ওকে এই নিয়ে আমরা পরে ডিসকাস করবো ৷ তুমি এখন ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে নেও ৷ দেখো খাবার খেতে না করবে না কারন তোমার আপুকে ওই পাগলের হাত থেকে বাচাঁতে হলে তোমাকে স্ট্রং হতে হবে৷ “
” ওকে ভাইয়া”
পূর্ণতাকে নিয়ে মিসাম তার ফ্লাটে রাখে বড় ফ্লাট হওয়ায় পূর্ণতার থাকার কোন অসুবিধা হয় না ৷ পূর্ণতা গেস্ট রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেয় ৷ অন্যদিকে মিসাম তার রুমে গিয়ে ফোনটা বিছানার উপর ছুড়ে মেরে নিজের মাথার চুল টানতে লাগলো৷
“শিট একটুর জন্য ঝিনুককে নিয়ে আসতে পারলাম না ৷ সবটাই হয়েছে ওই সমুদ্র মির্জার জন্য ওই সাইকোটাকে আমি ছাড়বো না কিছুতেই না ৷ ড্যাডকে জানাতে হবে সবটা “
মিসাম বিছানা থেকে ফোনটা তুলে তার ড্যাড কে ফোন করে ৷
” হ্যালো ড্যাড আজকের প্লান টা ফ্লপ হয়ে গেছে তবে পুরোপুরি নয়৷”
” যা বলার ক্লিয়ার করে বলো রাফসান”
” ড্যাড পূর্ণতা আমার কাছে..”
” গ্রেট , তাহলে ওই পূর্ণতাকে দিয়ে কাজ টা করাতে হবে রাফসান”
” ইয়েস ড্যাড এক ঢিলে তিন পাখি মারবো৷ ওই সমুদ্র মির্জা কে শেষ করবো৷ ঝিনুককে আমার করে নিবো ৷ আর পূর্ণতার উপরে সব দোষ পড়বে জেল খাটবে ৷ আর আমাদের উপর কোন প্রভাব পরবে না৷”
” এই না হলে আমার ছেলে রাফসান চৌধুরী মিসাম ৷ “
” ড্যাড এখন রাখছি ভিষন ট্রায়ার্ড লাগছে৷”
” ওকে ওকে রেস্ট কর আমি পড়ে কল করবো”
” হুম”
কল ডিসকানেক্ট করে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় মিসাম ৷
“” পি,,প্লিজ না স,, সমুদ্র আমি আর পালাবো না প্লিজ এমন টা করবেন”
” স্যরি প্রিন্সেস এটা তো করতে হবে যেন তুমি ভুলে না যাও আমি তোমার কে তাই আজ আমার নামটা তোমার বুকে খোদাই করে লিখে দিবো৷ একটু কষ্ট হবে প্রিন্সেস তুমি আমার জন্য সহ্য করতে পারবে না বলো?”
“” ন,,নাহ পারবো না আপনি একটা পাগল নাহলে এতো অর্তাচার আমাকে করতেন না ৷ প্লিজ এতো কষ্ট না দিয়ে আমাকে মেরে ফেলুন প্লিজ সমুদ্র আমাকে মেরে ফেলুন আপনি৷””
সমুদ্র ঝিনুককে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে দু’হাত বেধে দিয়ে ছোট নাইফ টা দিয়ে জামার উপরের দুটো বোতাম খুলে সমুদ্র নামটা লিখে ৷ ঝিনুক দাতেঁ দাঁত চেপে সহ্য করছে ব্যাথা টা ৷ লেখা শেষ হতে সমুদ্র সেখানে ব্লাড ক্লিন করে মলম লাগিয়ে দেয়৷
” ডোন্ট ওয়ারি জান এই লেখা কোনদিন মুছবে না কারন আমি মুছতে দিবো না ৷”
ঝিনুকের কথা বলার মতো শক্তি অবশিষ্ট নেই ৷ সেন্সলেস হয়ে পড়ে ঝিনুক৷ ঝিনুককে চোখ বন্ধ করতে দেখে সমুদ্রের চোখে মুখে রাগ আবার উপচে পড়ছে ৷ ঝিনুকের মুখে আলতো করে থাপ্পোর মারে তখনও ঝিনুককে চোখ মেলে তাকাতে না দেখে সমুদ্র বুজতে পারে ঝিনুক জ্ঞান হারিয়েছে৷ সমুদ্র ঝিনুকের হাত পায়ে চেক করে দেখে মারের দাগ গুলো ফুটে আছে৷ কোথাও কোথাও কেটে রক্ত পড়ছে ৷ সমুদ্র যতো বার ঝিনুকের দিকে তাকাচ্ছে ঠিক ততোবার মনে পড়ে যাচ্ছে ঝিনুকের বিশ্বাস ঘাতকতা ৷ সমুদ্র রাগটাকে কন্ট্রোল করার জন্য চোখ বন্ধ করে কয়েকবার নিশ্বাস নিয়ে ঝিনুকের হাতের বাধন খুলে বুকে জরিয়ে ধরে পিঠ থেকে কাপড় তুলে মারের জায়গা গুলোয় মলম লাগিয়ে দিলো৷ ধিরে ধিরে হাতের আগের ব্যান্ডেজ খুলে নতুন করে ব্যান্ডেজ করে ঝিনুকের অন্য হাতে পেটে পায়ে মলম লাগিয়ে দিয়ে শুইয়ে দিলো সমুদ্র৷ ঝিনুককে বিছানায় রেখে সমুদ্র বেলকনিতে দারিয়ে সিগারেট ধরিয়ে খেতে লাগলো ৷ একের পর এক সিগারেট খেয়ে যাচ্ছে সমুদ্র ৷ এই মুহূর্তে কেউ সমুদ্রকে দেখলে ভয়ে নির্ঘাত সেন্সলেস হয়ে যাবে ৷ সমুদ্রের সবুজ বর্ন চোখ জোড়া রাগে লাল বর্ন ধারন করেছে৷ এলোমেলো চুল লাল টকটকে চোখ মুখে হিংস্রতা সব মিলিয়ে প্রচন্ড ভয়ঙ্কর লাগছে সমুদ্রকে যেন হিংস্র বাঘ ৷ সমুদ্র মাইক্রোতে ছেলেটির মুখ পরিষ্কার ভাবে না দেখলেও বুজতে পারছে এই ছেলের সাথে ঝিনুকের কোন সম্পর্ক আছে৷ ঝিনুক অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারে এটা ভাবতে সমুদ্রের ইচ্ছে করছে পুরো পৃথিবীটা ধ্বংস করে দিতে ৷
“” প্রিন্সেস শুধু আমার শুধু আমার আর কারো না ৷ যে আমার প্রিন্সেস কে আমার থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে তাকে আমি দুনিয়া থেকে তুলে দিবো বিকজ সি ইজ অনলি মাইন ৷””
সমুদ্র অর্ধাংশ সিগারেটের অংশটা ফেলে দিয়ে রুমে এসে ঝিনুকের পাশে বসে বসে হাতটা শক্ত করে ধরে চুমু খেতে থাকে ৷
“” এই হাত যখন একবার ধরেছি তখন পৃথিবী এদিক থেকে ওদিক হলেও তোমাকে আমার থেকে কেউ কেড়ে নিয়ে পারবে না প্রিন্সেস ৷ তোমাকে যে আমায় ভালোবাসতে হবে বাই হুক ওর বাই ক্রুক ৷”
বিকেল বেলা ঝিনুকের জ্ঞান ফিরে আসে ৷ উঠে বসতে চাইলে শরীলের অসহ্য যন্ত্রনার কারনে উঠতে পারে না ৷ তখনি কাধে কারো হাতের ছোয়া পেয়ে ভয় পেয়ে যায় এটা ভেবে সমুদ্র আবার মারবে এই ভয়ে৷ তখনি নরম কন্ঠে কেউ বলে ওঠে ” ভয় পেও না বউমা আমি তোমার শাশুড়ি ৷
সমুদ্র ঝিনুকের জন্য খাবার বানানোর জন্য নিচে কিচেনে যেতে সে সুযোগে মিসেস সোহিনী রুমে এসে হাজির হন ঝিনুকের সাথে কথা বলার জন্য কিন্তু ঝিনুকের এমন নির্মম অবস্তা দেখে তিনি নিজেই ঘাবড়ে যান৷
“” বউমা আমি সমুদ্রের হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি ৷ বিশ্বাস করো তিন বছর আগে আমার এই সমুদ্র এমনটা ছিলো না ৷ তিন বছর আগে সিলেট থেকে ফেরার সময় কিছু শত্রুরা ওর উপর আক্রমন করে ৷ বড় ট্রাকের সাথে এক্সিডেন্ট করে ৷মাথায় গভীর ভাবে আঘাত লাগে ৷ আর ওই এক্সিডেন্টের পর থেকে ওর মাথায় কিছু সমস্যা হয় ৷ চিকিৎসা করালে সমুদ্র সুস্থ হয়ে যাবে কিন্তু সমুদ্র কিছুতেই চিকিৎসা করাতে চাচ্ছে না ও মনে করে আমরা কেউ ওর ভালো চাই না ৷ আমরা ওর শত্রু ৷ অনেক চেষ্টা করেছি ওকে সুস্থ করার কিন্তু কোন লাভ হয়নি বরং ওর হিংস্রতা দিনে দিনে আরো বেড়ে গেছে ৷ মা তুমি পারবে আমার ছেলেটাকে ভালো করে দিতে ৷ “”
“” আ,,আমি!”
” হ্যা মা তুমি কারন তুমি ওর জীবনে আসার পর ও নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে ৷ এটা একটা গুড সাইন ৷ তুমি চেষ্টা করলে ওকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারবে মা ৷ দয়া করে আমায় ফিরিয়ে দিও না ৷ “” মিসেস সোহিনী মির্জা ঝিনুকের হাত ধরে কেঁদে ফেললেন ৷ ঝিনুকের ভিষন খারাপ লাগছে ওর ধরে কেউ এতোটা কাতর হয়ে কিছু চাইছে দেখে৷
” আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না আমার কি অবস্তা করেছে আপনার পাগল ছেলে”
” বউমা তুমি আজ পালানোর চেষ্টা না করলে এমনটা কখনো হতো না ৷ আজ তুমি অনেক বড় ভূল করেছো ৷ সমুদ্রের বুদ্ধি সম্পর্কে তোমার কোন ধারনা নেই ৷ রাগ জেদ হিংস্রতা ওর মাঝে যতোটুকু আছে তার দ্বিগুণ আছে বুদ্ধি ৷ তুমি দরজা খোলা পেলে আর বেরিয়ে গেলে ? জানো না পুরো বাড়িতে সি সি ক্যামেরা লাগানো আছে ৷
“” কিহ!”
” হুম , আহানাকে ও প্রচুর মেরেছে সমুদ্র তোমাকে পালাতে সাহায্য করার অপরাধে””
ঝিনুকের প্রচন্ড অনুশোচনা হচ্ছে ৷ আজ ওকে সাহায্য করার জন্য আহানাকে মার খেতে হয়েছে৷
” আহি এখন কেমন আছে?””
” ডক্টর দেখে গেছে ৷ এখন ঘুমাচ্ছে ৷ কিন্তু তোমার অবস্তাও বেশ শোচনীয় ৷ ” হঠাৎ করে মিসেস মির্জার চোখ পড়ে ঝিনুকের গলার নিচে রক্ত ভেজা জারার কিছু অংশ…
” একি তোমার জামায় রক্ত কেন? ” ঝিনুকের কিছু বলার পূর্বে মিসেস সোহিনী ঝিনুকের গলা থেকে জামাটা কিছুটা নামিয়ে দেখে শক্টড ৷
” ছিঃ আমার ছেলে এতোটাই নিচে নেমে যাবে আমি কখনো ভাবি নি বউমা ৷ তুমি চিন্তা করো না আমি ওর বাবার সাথে কথা বলছি ৷ সমুদ্র এবার একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছে ৷ এটাকে আর বাড়তে দিলে চলবে না”
মিসেস মির্জা উঠতে নিলে ঝিনুক হাত ধরে থামিয়ে দেয়৷
” আন্টি প্লিজ আপনি আঙ্কেলকে কিছু জানাবেন না ৷ ভুলটা আমার ছিলো ৷ আজ যদি পালাতে চেষ্টা না করতাম তাহলে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না ৷ আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি সমুদ্র কে সুস্থ করে তুলবো ৷”
” সত্যি বলছো বউমা?”
” জ্বি তবে সমুদ্র সুস্হ হওয়ার পর তার করা অপরাধের শাস্তি পাবে সে, আমার বাবা মাকে খুন করার শাস্তি আমি ওকে নিজের হাতে দিবো কথা দিলাম..”
ঝিনুকের কথায় হতবাক হয়ে যায় মিসেস মির্জা ৷ তিনি ঝিনুককে কিছু বলতে যাবেন তখনি কারো পায়ের আওয়াজ পেয়ে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে যায়….
.
.
চলবে……..
লিখেছেনঃ ফারহানা ছবি