লিরা এখন আর আসে না হোস্টেলের ২০৯ নাম্বার রুমে।শেফা রোজ রাতে জানালা খুলে রাখে লিরার জন্য।কিন্তু লিরা আসে না।লিরার কাছ থেকে সব রহস্য উদঘাটন করতেই হবে যেভাবেই হোক।লিরা কি বলে গেলো আর কেনোই বা বলে গেলো তা আজো অস্পষ্ট শেফার কাছে।যদি শেফা-ই খুন করে থাকে তাহলে প্রথম খুন টা কে করেছে?আর লিরা কে! কি লিরার পরিচয় এই সব কিছু জানতে হবে আগে।শেফা মনস্থির করলো হোস্টেলের স্টাফ মর্জিনা খালার কাছ থেকে লিরার সম্পর্কে কিছু তথ্য নেওয়া যেতে পারে।শেফা শোয়ে শোয়ে এসব ভাবছিলো।ভাবনার মাঝে কারো পদ ধ্বনি শোনতে পেলো।মাথাটা ঘুরিয়ে তাকালো শেফা, ক’থার হাসোজ্জ্বল মুখটা ভেসে উঠলো শেফার চোখের সামনে।
কথা লিরার পাশে বসে মুখে এক টুকরো হাসি টেনে বলল,
“কিরে এই সন্ধ্যে বেলা শোয়ে আছিস কেনো?”
শেফা স্বজোরে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
“কি করব আর? আমার এই জীবনটা কেমন জানি আমাবস্যায় ভরে গেছে।”
কথা শেফার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“ধৈর্য ধর একদিন সোনালি প্রভাত ফিরবেই।”
“আমি একটু ক্যান্টিনে যাবো, তুই থাক তাহলে।”
কথা উঠে চলে গেলো।শেফার শরীরটা আজ ভালো লাগছে না, ভীষন ক্লান্ত আর অসুস্থ লাগছে।শেফা উঠে ওয়াশরুমে গেলো ফ্রেশ হওয়ার জন্য।চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে একটু সুস্থির হলো।শেফা পানির ট্যাব বন্ধ করে দিলো।ফিরে আসবে এমন সময় পানির ট্যাব ছাড়ার শব্দ পেলো, ঝট করে ঘুরে তাকিয়ে দেখলো সবে মাত্র বন্ধ করে দেয়া পানির ট্যাপ দিয়ে পানি পড়ছে।শেফা ঘাবড়ে গেলো, আবার এসে ট্যাব বন্ধ করে দিলো।ফির আসার জন্য আবার পা বাড়ালো, এবারো একই ঘটনার পুনর্বৃত্তি ঘটলো।শেফা এক প্রকার বিরক্ত হয়ে গেলো।এক রাশ বিরক্তি নিয়ে পানির ট্যাব বন্ধ করার জন্য ট্যাবের গায়ে হাত দিলো কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি ট্যাপটা বন্ধ হচ্ছে না।শেফা অনেক ট্রাই করছে তবু বন্ধ হচ্ছে না।শেফার বিরক্তহীন চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে দেখে কেউ একজন বিকট স্বরে হেসে উঠলো।
শেফা হাসির শব্দ শোনে পেছনে ঘুরে তাকালো।একটি মেয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।চুল গুলো এলোমেলো।শেফা মেয়েটি কে দেখে ভয় পেয়ে গেলো।মেয়েটি মাথা তুলে শেফার দিকে তাকালো।মেয়েটিকে দেখেই শেফা চমকে উঠলো।মেয়েটি আর কেউ নয় মৃত আয়শা।শেফা আয়শা দেখে থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আয়শার চুল গুলো মুখের চারপাশে ছড়ানো, সারা শরীরে রক্ত মাখানো।আয়শা কে কিছুক্ষন দেখে নিয়ে শেফা ভয়ার্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
“তুমি এখানে? তুমি না মারা গেছো?”
আয়শা চোখ উল্টে তাকালো শেফার দিকে।তারপর সরু কন্ঠে হেসে উঠলো।চিনচিনে গলার বিকট হাসির শব্দ পুরো বাথরুমে ছড়িয়ে গেলো।আয়শা থেমে গেলো হঠাৎ চোখ ছলছল করে উঠলো নিরব কান্নায়।একটি বাচ্চার কান্নার শব্দে আয়শা পাগল হয়ে গেলো।
শেফা দেখতে পেলো আয়শার আচঁলের তলা থেকে একটি ছোট্ট শিশুর দেহ বের করে হাতে নিলো।৩মাসের অপ্রাপ্ত একটি ভ্রুন।আনুমানিক ৩.৫ ইঞ্চি লম্বা হবে ভ্রুনটি।মাথাটি শরীরের তুলনায় বড়।বাচ্চাটিকে বুকের মাঝে নিয়ে পরম মমতায় বুকে চেপে ধরল।শেফা আয়শার এসব কান্ড চুপচাপ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।আয়শার মাতৃসুলভ কোমল আচরণ পরিবর্তিত হয়ে হঠাৎ করেই আক্রমণাত্মক পিচাশের রুপ নিলো।আয়শার চোখ দিয়ে অগ্নিলাভার মত অগ্নিকনা বিচ্ছুরিত হচ্ছে যেনো।আয়শার এই রুপ দেখে শেফার শিরদাঁড়া বেয়ে এক শীতল স্রোত বয়ে গেলো।শরীর ঝাকি দিয়ে উঠলো।আয়শার কোলে থাকা অপ্রাপ্তবয়সের বাচ্চাটির বন্ধ নেত্রযুগল খোলে গেলো।আয়শার দিকে তাকিয়ে হাসল।আয়শা বাচ্চাটির দিকে তাকিয়ে বলল,
“বাবা সামনে যে দাড়িয়ে আছে তাকে তুমি শেষ করে দাও।তোমার আর তোমার মায়ের খুনি ও”।
বাচ্চাটি মায়ের কথা মত লাফ দিয়ে নেমে গেলো কোল থেকে।বাচ্চাটির শরীর রক্তের মত লাল।দেখে মনে হয় কেউ যেনো চামড়া ছিলে নিয়েছে।বাচ্চাটি শেফার পায়ের কাছে এসে লতানো গাছের মত শেফার পা জড়িয়ে ধরল।ভয়ে শেফার চোখ কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসার উপক্রম।বাচ্চাটি চোখের পলকে শেফার গা বেয়ে কাধে উঠে গেলো।শেফার গা ঘিনঘিন করছে।বাচ্চাটির কবল থেকে বাচার চেষ্টা করছে সর্ব শক্তি দিয়ে কিন্তু কিছুতেই বাচ্চাটি সরছে না।শেফার শরীর ঘেমে গেছে, গলা শোকিয়ে গেছে।বাচাঁর জন্য চিৎকার করছে কিন্তু ওর চিৎকার কেউ শোনছে না।আয়শা শেফার এই করুন দশা দেখে খিল খিল করে হাসছে।
শেফা অনুনয় করে বলল,
“আমাকে ছেড়ে দাও আয়শা।আমি তোমাকে অনুরোধ করে বলছি বলছি দয়া করে আমাকে যেতে দাও।”
আয়শা হাসি থামিয়ে বলল,
“যখন আমি তোর কাছে এইভাবে অনুনয় করে বাচাঁর জন্য আকুতি জানিয়েছিলাম তখন তুই কি আমাকে ছেড়ে দিয়েছিলি?
আমার ছোট্ট বাচ্চাটির শরীর কে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিলি তুই।”
শেফা বলল,
“আমি কখনো এই জঘন্যতম কাজ করিনি।তুমি আমাকে বিশ্বাস করো আয়শা।তোমাকে কেনো আমি মারব?তোমার সাথে আমার কিসের শত্রুতা?”
কথাটি শেষ হওয়া মাত্রই বাচ্চাটি শেফার গলা জড়িয়ে ধরল।শেফা মৃত্যু যন্ত্রমায় ছটফট করছে আর আয়শা অট্ট হাসিতে নিজের মনে জ্বলে উঠা প্রতিশোধের আগুন নিভাচ্ছে।
শেফা নিজের মৃত্যুকে চোখের সামনে উপস্থিত দেখতে পেয়ে চোখ বোজে ফেলল।শরীর নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে।চোখের পাতায় কে যেনো অবসাদ ঢেলে দিয়েছে যার কারণে চোখ খোলে রাখতে পারছেনা।জিব বেড়িয়ে গেছে।
মৃত্যুর এই মিলনকালে আয়শার মস্তিষ্ক দারুন একটি কাজ করে ফেলল।সর্বশক্তি দিয়ে কণ্ঠনালীর ভেতর দিয়ে আয়াতুল করসীর প্রথম অংশ “আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বায়্যুম…..উচ্চারিত হলো।
আল্লাহর পবিত্র বানী উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথে অশুভ বাচ্চাটি ছিটকে পড়লো দূরে।আয়শা নিজের সকল প্ল্যান এভাবে ভেস্তে যাওয়াতে গর্জন করে উঠলো।অগ্নিশর্মা হয়ে তড়িৎ গতিতে ছুটে আসতে লাগল শেফার দিকে।শেফা নিজেকে সুস্থির হওয়ার সুযোগ না দিয়ে উচ্চ কন্ঠে আয়াতুল কুরসী পাঠ করতে লাগল।আয়শা আর এক পা এগোতে গিয়ে থেমে গেলো।সর্ব শরীরে আগুন ধরে গেলো ওর।প্রান নাশের আশংকায় চিৎকার করতে লাগল।আয়শা দ্বীগুন রেগে গেলো, প্রতিহিংসার আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো।শেফা আরো দ্রুত আয়াত কুরসী পাঠ করছে।আল্লাহর পবিত্র কালামের সামনে আয়শা টিকতে পারলো না।ওর পতিত আত্তা ভষ্ম হয়ে গেলো শেফার চোখের সামনে।
কতক্ষন পার হয়ে গেছে জানা নেই।শেফার শরীর ক্লান্ত আর পরিশ্রান্ত।শরীরে শক্তি নেই।কোন রকম টলতে টলতে ওয়াশরুমের ছিটকিনি খোলে বাইরে বেড়িয়ে এলো।
রুমে আসা মাত্রই সবাই শেফার করুন দশা দেখে এগিয়ে এলো।ক’থা নিজের টেবিলে অনেকদিন পর বই নিয়ে বসেছিলো।শেফা’কে দেখে এগিয়ে এলো দ্রুত।সবার সাহায্যে ধরে নিয়ে আসলো।বিছানায় শোইয়ে দিলো।শেফার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে, গলা ফোলে গেছে।ক’থা অতি দ্রুত পানি এনে শেফার শরীর মুছে দিলো।মাথায় জল পট্টি করে দিলো।
শেফা ঘুমিয়ে গেছে, ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখছে শেফা একটি জঙ্গলের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে।চারদিকে জনমানবের চিহ্ন নেই।শেফার জঙ্গল থেকে বের হওয়ার জন্য ছোটছে।কিন্তু বের হওয়ার কোন উপায় নেই।জঙ্গলের চার পাশ টা উঁচু প্রাচির দিয়ে ঘেরা।শেফা ক্লান্ত হয়ে জঙ্গলের মাঝে এসে দাড়ালো।হঠাৎ শেফার পায়ের নীচের মাটি কাপঁতে লাগল।শেফা পিছু হটলো।একটি মানব কঙ্কাল উঠে এলো মাটি ফোঁড়ে।কঙ্কালটির পোঁকায় খেয়ে ফেলা ক্ষয় হয়ে যাওয়া হাতটি কাপঁতে কাপঁতে শেফার গাল স্পর্শ করলো।শেফা পিছিয়ে গেলো দু’কদম।
কঙ্কালটি ফিসফিস করে কি যেনো বলছে তা ঠিক বোঝতে পারলো না শেফা।ফিসফিস শব্দটি খুবই ভয়ানক শোনলেই গায়ে কাটা দিয়ে উঠে।শেফার মস্তিষ্কে শব্দটি গেঁথে গেছে।বার বার একই শব্দ কানে ভেসে আসছে।মাথায় তীব্র যন্ত্রনা হচ্ছে।জেগে উঠলো শেফা।গলা শোকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।বিছানা থেকে উঠে কয়েক ঢোক পানি গলদেশে চালান করে দিলো।আবার সেই মাথা যন্ত্রনা যা স্বপ্ন দেখার সময় হচ্ছিলো।যন্ত্রনা প্রকট আকার ধারন করেছে।শেফার কানে আবার সেই ফিসফিস শব্দ।
“আমাকে বাচাঁও! শে-ফা!”
এরকম শব্দ কানে যেতেই পাশ ফিরে তাকালো শেফা।ক’থা বিছানায় নেই, ফ্লোরে পড়ে আছে।শেফার মুখ দিয়েই এরকম করুন আকুতি নিঃসৃত হচ্ছে।
শেফা লাইট জ্বালালো তাড়াতাড়ি, ক’থার হাতে নখের আচরের দাগ।একটি সুক্ষ্ম সুতা ক’থার গলায় বসে আছে।শেফা দ্রুত সুতাটি সরালো।কথা’কে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে সুস্থির করে শোয়ালো বিছানায়।
ক’থা যখন একটু শান্ত হলো তখন শেফা জিজ্ঞেস করলো কথা’র এই অবস্থা হলো কি করে।কথা বলল,
“যখন আমি ঘুমিয়ে গেছি তখন একটি স্বপ্ন দেখি।কেউ যেনো আমাকে ডাকছে। আমি সেই ডাকের অনুসরণ করে বিছানা থেকে উঠে যাই।যেনো কেউ আমাকে হিপনোটাইজ করেছে।
আমি যখন পা ফেলে শব্দের পেছন পেছন যাবো তখন তোর বিছানার সাথে ধাক্কা লেগে আমার ঘোর কেটে যায়।আমি কি করতে যাচ্ছিলাম তা মনে করতেই ভয় পেয়ে বিছানায় উঠে বসি।ঠিক তখনি লিরা আমার কাছে আসে।এসে আমাকে টেনে হিচরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাহিরে।আমি লিরার হাত থেকে ছোটবার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে যাই।একপ্রকার ধস্তাধস্তি হয় আমাদের মাঝে।
তারপর লিরা আমাকে এইভাবে খামচি দিতে থাকে আর আমি চিৎকার করাতে আমার গলা কি যেনো একটা দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে।আমার শ্বাস কষ্ট হতে লাগে।তারপর তুই উঠলি পানি খাওয়ার জন্য আর লিরা চলে যায়।”
শেফা সব শোনে কথা’কে বলল,
“আমার সাথেও ঠিক এমন টা হয়েছে।”
ক’থা লিরার দিকে তাকালো।কথা’র চোখে মুখে ভয় আর উৎকন্ঠা।শেফা ওর সাথে ঘটে যাওয়া সব কিছু কথা’কে খোলে বলল।
ক’থা বলল,
“আমাদের কালকেই মর্জিনা খালার কাছে যেতে হবে।উনিই একমাত্র আমাদের সাহায্য করতে পারেন।”
শেফা বলল,
“যা করবার তাড়াতাড়ি করতে হবে।ওই লিরার রহস্য খোজে বের করতে হবে আমাদের কে অতি শীঘ্রই।”
ক’থা মাথা নাড়ল।
পরদিন বিকালে দুজন মিলে মর্জিনা খালার কাছে গেলো।মর্জিনা খালা সিঁড়ির নীচের একটা ছোট্ট রুমে থাকেন।দরজায় নক করল।মর্জিনা খালা।আসছি বলে দরজা খোলে দিলো।শেফা কে দেখেই চিনতে পারল।দুজন কে ভেতরে আসতে বলল।
শেফা ভেতরে এসে বলল,
“খালা আমাদের কিছু জানার ছিলো আপনার থেকে।”
মর্জিনা খালা ম্লান কন্ঠে বলল,
“তোমরা কি জানতে চাও তা আমি জানি।”
ক’থা বলল,
“তাহলে দয়া করে আমাদের বলুন কে ঐ লিরা।”
মর্জিনা খালা বলল,
“আমি লিরার সম্পর্কে বেশী কিছু জানি না।যখন লিরা এই হোস্টেলে আসে তখন আমি এই হোস্টেলে নতুন জয়েন করেছিলাম।আর আমার ডিউটি থাকত দু’তলায়।”
এতোটুকু বলে থামলো বৃদ্ধা স্টাফ।তারপর আবার বলল,
“মেয়েটি খুব সুন্দরী ছিলো, উচু বংশের এবং উঁচু জাতের।আর একটি কথা মেয়েটি বিবাহিতা ছিলো।”
বিবাহিতা কথাটি শোনে ক’থা এবং শেফা একে অপরের মুখের দিকে তাকালো।শেফা বলল,
“বিবাহিতা ছিলো লিরা?
বৃদ্ধা স্টাফ মর্জিনা বলল,
“হ্যা বিবাহিতা ছিলো।”
ক’থা বলল,
“লিরা কি কারণে মারা গেছিলো?”
মর্জিনা খালা বলল,
“আমি জানি না।লিরার লাশের দায়ভার পড়েছিলো এই হোস্টেলের পুরাতন সুপার মিসেস সোনালের উপর।উনিই লিরার সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন।”
শেফা বলল,
“আমরা মিসেস সোনালের সাথে কথা বলতে চাই।”
“মিসেস সোনাল আগামী সপ্তাহে আমাদের হোস্টেলে আসবেন।”
ক’থা বলল,
“উনি আসলে আমাদের অবশ্যই জানাবেন
আমাদের প্রান সংকটে আছে।”
মর্জিনা খালা মাথা নেড়ে সায় দিলো।
শেফা এবং কথা বিদায় জানিয়ে চলে এলো।
বৃদ্ধা স্টাফের মুখে হাসির রেখা ফোটে উঠল।
.
.
চলবে……
লিখেছেনঃ রাহিমা নিশাত নিঝুম