মেয়েটি খুব সুন্দর করে সেজেছে।নিজের শাড়ি নেই তাই বান্ধবীর শাড়ি নিয়ে পড়েছে।হাতে নীল চুড়ি, কপালে কালো টিপ, চুল গুলো সুন্দর করে বাধা।চোখে কাজল, একদম পারফেক্ট বাঙ্গালী সাজে সেজেছে।
পায়ে রুপার নুপুর, রুপ যেনো ঠিকরে বেরোচ্ছে।এক দেখাতেই চোখে ধাধা লেগে যাবে যে কারো।
মেয়েটি বাথরুমে এসেছে, মেয়েটি ২০৮ নাম্বার রুমে থাকে।২০৯ এর বাথরুম আর ২০৮ এর বাথরুম একই।
রাত ১১:৪৫ মিনিট বাজে, মেয়েটি বাথরুম সেরে ওয়াশরুমে এসেছে হাত মুখ ধোয়ার জন্য।
ওয়াশরুমে ঢুকে পানির ট্যাব টা ছেড়ে দিয়ে গুন গুন করে গান গাইছে।হাত ধোয়া শেষে যখন বের হবে অমনি দরজাটা বন্ধ হয়ে গেলো।এমন ভাবে বন্ধ হল যেনো কেউ স্বজোরে লাগিয়ে দিলো।মেয়েটি অবাক হলো, আবার ভাবলো হয়তো তার কোন ফ্রেন্ড মজা করছে।তাই দরজার কাছে এসে বলতে লাগলো,
“দরজা খোলে দাও দয়া করে, কে আছো?”
কিন্তু কোন সাড়া পেলো না।এভাবে বেশ কিছুক্ষন ডেকেও সাড়া পেলো না।
মেয়েটি ডাকতে ডাকতে যখন ক্লান্ত হয়ে গেলো তখন দরজায় ধাক্কা দিতে লাগল।এমন সময় কেউ একজন অদ্ভুত কন্ঠে বলল,
“দরজা ধাক্কিয়ে লাভ নেই।তোমার এই ডাক কেউ শোনবে না।”
মেয়েটি কারো গলা শোনতে পেয়ে গলার স্বরটিকে অনুসরণ করে উপরে তাকালো।ভয়ে লাফ দিয়ে তিন হাত দূরে সরে গেলো।
সাদা কাফনে মোড়ানো একটি মেয়ে ওয়াশরুমের ছাদে টিকটিকির মত ঝুলে আছে।চোখ দিয়ে রক্ত পড়ছে আর মেয়েটি সেগুলো জিব দিয়ে চেটে খাচ্ছে।এই অবস্থা দেখেই মেয়েটির ভয়ে প্রান চলে যাওয়ার অবস্থা।মেয়েটি চোখ দুটি ঘুরিয়ে বলল,
“রক্ত খেতে খুব মজা, আজ আমি আবার তাজা রক্তের ঘ্রান পাচ্ছি।”
মেয়েটি আত্মার কথা শোনে ভয়ে পিছিয়ে গেলো।আত্মাটি এক লাফে নেমে এসে মেয়েটির সামনে দাড়ালো।চোখের পলকে মেয়েটির চারপাশ প্রদিক্ষন করে মেয়েটির পাশে স্থীর হয়ে দাড়ালো।মেয়েটি ভয়ে থরথর করে কাপছে।আত্মাটি মেয়েটির শরীরে নিজের নাক লাগিয়ে গন্ধ শোকে বলল,
“আহ কচি শরীরের তাজা রক্তের ঘ্রান।সত্যি খুব টেস্ট হবে।”
মেয়েটি হাত জোর করে বলল,
“আমাকে ছেড়ে দাও, আমি তোমার কি ক্ষতি করছি? আমাকে কেনো মারবে?”
আত্মাটি বলল,
“তোকে মরতেই হবে, মরবি তুই আমার হাতে।”
মেয়েটির গলায় চেপে ধরে নখ ডাবিয়ে দিলো।মেয়েটি মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগল।আত্মাটি মেয়েটির ছটফটানী দেখে অট্রহাসিতে মেতে উঠল, একসময় মেয়েটির শ্বাসনালী ছিড়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে লাগল।আত্মাটির চোখ মুখ লোভে চিকচিক করতে লাগল।সাপের মত লিকলিকে জিব টা বার কয়েক বের করে নিলো।তারপর মেয়েটির সদ্য বের হওয়া তাজা রক্তে মুখ লাগালো।এক টানেই যেনো নিঃশেষ করে দেবো দেহের সব রক্ত।মেয়েটির চোখ বের হয়ে যেতে চাইছে যন্ত্রনায়।মেয়েটিকে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে মেয়েটির বুক চিরে এক টানে কলজে টা বের করে আনল।তাজা কলিজা, এখনো লাফাচ্ছে।আত্মাটি বিশ্রি ভাবে হাসলো তারপর মুখে চালান করে দিলো রক্তসুদ্ধ কলিজাটা।আত্মাটি মেয়েটির চোখে মুখে অজস্র খামচির চিহ্ন একেঁ দিলো।সারা শরীরে জঘন্য ভাবে নখের আচর।পড়ে রইলো ফ্লোরে।আত্মাটি পরিতৃপ্তির হাসি দিলো।
শেফা এবং ক’থা জেনিদের রুমে এসেছে।আজ জেনির জন্মদিন আর ওরা দুজন আসবে কথা দিয়েছিলো।রাত ১২ টায় জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে।সব আয়োজন শেষ।
হোস্টেলে টিচারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে যতোটা ভালো করে সেলিব্রেট করা যায় তার সবটাই করেছে।ক’থা এবং শেফা সবার সাথে কথা বলছে।১২ টা বেজে গেছে কিন্তু এখনো যার বার্থ ডে সেই বার্থ ডে কুইন এর কোন খবর নেই।ওরা আরো বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করলো।কিন্তু জেনি এখনো রুমে আসেনি।
জেনির সাইড পার্টনার অংকিতার ভাষ্যমতে জেনি ১২টা বাজার অনেক আগেই ওয়াশরুমে গেছিলো তারপর আর ফিরে আসেনি।ক’থা এবং শেফা অংকিতা কে নিয়ে বাথরুমে গেলো।
ক’থা এবং শেফার মনে ভয় ঝেকে বসেছে।জেনির কিছু হয়ে যায়নি তো!
ক’থা ওয়াশরুমের দরজা লক দেখে ওয়াশরুমের সাথে এডজাস্ট টয়লেটে চলে গেলো, সেখানকান দেয়াল টপকে ওয়াশরুমের ভেতর লাফিয়ে পড়ল।ক’থা দেখতে পেলো জেনি ফ্লোরে পড়ে রয়েছে
জেনির বুক থেকে দরদর করে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।জেনি চোখ খোলে রয়েছে যেনো ক’থার দিকেই তাকিয়ে আছে।ক’থার ভেতরটা কেপেঁ উঠলো, ক’থা তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমের দরজার ছিটকিনিটা খোলে দিলো।সবাই হুড়মুড় করে ওয়াশরুমে ঢুকে এই বিভৎস দৃশ্য দেখে চিৎকার করে উঠল।আর একজনের দেখাদেখি অন্যরা সবাই।হোস্টেলে তো এরকমই, একটা মেয়ে যদি কোন কিছু দেখে চিৎকার দেয় আর তা যদি জ্বীন/ভূত রিলেটেড হয় তবে বাকীরা না দেখলেও ঐ একজনের চিৎকার শোনে সবাই মিলে চিৎকার দেয়া শুরু করবে।হোস্টেলে এই চিৎকার বড় ছোঁয়াচে।
শেফার চোখ দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে।আজ মেয়েটার জন্মদিন ছিলো আর আজকেই সে এইভাবে পরোপারে চলে যাবে কখনো চিন্তাই করতে পারেনি।শেফা এবার বেশ ভালোই বোঝতে পারল এসব লিরার জন্যই হচ্ছে।একমাত্র লিরাই এসব করছে।শেফার চোখ অগ্নিবর্ণ ধারন করলো, দাতেঁ দাতঁ চেপে ধরল, চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে সেই সাথে হাত মুষ্ঠিবদ্ধ।
ক’থা খেয়াল করলো এসব।শেফা তাড়াতাড়ি করে রুমে চলে এলো, এসে দেখলো লিরা তার বেডে শোয়ে আছে।শেফার এটা দেখেই মেজাজ গরম হয়ে গেলো আরো।যেখানে জেনির মৃত্যুতে সব মেয়েরা ভয় পাচ্ছে আবার কেউ বা কষ্টও পাচ্ছে সেখানে লিরা মনের সুখে শোয়ে আছে।মানুষ নয় আস্ত একটি পিশাচ।
শেফা লিরার হাতটা খপ করে ধরে উঠে বসালো তারপর সমস্ত শক্তি দিয়ে দাঁত কপাটি ফেলে দেওয়ার মতো আঘাত হানল লিরার গালে।লিরা রেগে চোখ কটমট করে তাকালো।
শেফা চিৎকার করে বলল,
“বল তুই জেনি কে কেনো মারলি? জেনি তোর কি ক্ষতি করেছিলো?”
শেফা যে আত্মার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো এটা ও বেমালুম ভুলে গেছে।লিরা হতভম্ভ হয়ে তাকিয়ে আছে।শেফা বলল,
“আমি সব জানি, তুই একটা পিশাচ তুই মারা গেছিস অনেক আগেই।তাই তোকে কেউ দেখে না।”
ক’থা যতোক্ষনে চলে আসলো ততোক্ষনে শেফা সব বলে দিয়েছে।
লিরা ধমক দিয়ে বলল,
“ব্যাস!
লিরার অবাক হয়ে তাকালো শেফা।লিরা আবার বলতে লাগল,
“অনেক বলেছিস তুই, অনেক হয়েছে এইবার আমার কথা শোন।হ্যা আমি মারা গেছি, মারা গেছি আমি।কিন্তু আমি কাউকে মারিনি, মেরেছিস তুই।”
ক’থা অবাক হয়ে গেলো, শেফা তো প্রথম থেকেই বিস্মিত।
শেফা বলল,
“আমি মেরেছি?
লিরা বলল,
“হ্যা তুই মেরেছিস।তোর কি মনে আছে? একটা আত্মা তোকে কামড় দিয়েছিলো? তোর গলায়?
শেফা লিরার কথা শোনছে।ওর মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।
লিরা বলল,
“যে তোকে কামড় দিয়েছিলো তার কামড়ের ফলে তোর ইনফেকশন হয়ে একটা রোগ সৃষ্টি হয়েছে।এই রোগের কারনে তুই সবাইকে মারছিস কামড়িয়ে কামড়িয়ে।”
শেফা বলল,
“তুই মিথ্যা বলছিস!
লিরা হেসে বলল,
“আমার মিথ্যা বলার প্রয়োজন হয় না, আমি কখনো মিথ্যা বলি না।”
শেফা বলল,
“তাই যদি হয়, যদি আমিই সবাইকে মেরে থাকি কামড় দেওয়ার ফলে তাহলে প্রথমে যে মারা গেলো শিখা, তাকে কে মেরেছে?
লিরা বলল,
“তাকে কে মেরেছে সে ব্যাপারে আমি তোকে কৈফিয়ত দিতে পারব না।কিন্তু মিস শেফা এবার থেকে খেলা শুরু।”
কথাটি বলে বিকট শব্দে হাসতে লাগল।হাসি থামিয়ে বলল,
“যাদের কে মেরেছিস না তাদের আত্মারা এবার তোকে ভালো থাকতে দেবে না।”
লিরা জানালা খোলে সাই করে উড়ে চলে গেলো পাল পাড়ার শশান ঘাটে।
শেফা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ক’থা সব কিছু শোনে শেফার সামনে আসলো।শেফা ক’থাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে সকল আবেগ ঢেলে দিলো চোখের জলে।ক’থা শেফার মাথায় শান্তনার হাত বোলাল।
শেফা মন মরা হয়ে বসে আছে।কি বলে গেলো লিরা, সবাইকে মেরেছে শেফা!আয়শা, জেনি এই দুজন কে শেফা মেরেছে? না এটা কিছুতেই মানতে পারছে না শেফা।চোখ দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে।অনেকক্ষন কাদাঁর পর চোখ মুখ ভারী হয়ে আছে, যেনো একটু পানির ছিটা দিলে ভালো লাগবে।
ওয়াশরুমে গিয়ে বেসিনে মুখ ধুয়ে নিলো।হাত মুখ ধুয়ে পেছনে ঘুরতেই মিম কে দেখতে পেলো।
মিম শেফাকে কে দেখেই চিরচেনা সেই বিশ্ববিখ্যাত হাসিটা দিলো।
মিম বলল,
“শেফা তুই এসেছিস তাই আমিও আসলাম, আমার একা একা ভয় করে একটু দাড়াবি?
শেফা মাথা নাড়ল।শেফা দাঁড়িয়ে আছে।
মিম হাত মুখে পানি দিচ্ছে।আড়চোখে শেফা কে দেখে নিয়ে মুচকী হাসলো।মিম হাত মুখ ধোয়া শেষে শেফার দিকে ঘুরলো।শেফা মিমের কাজ শেষ দেখে বলল,
“চলো রুমে যাই।”
“এতো সহজেই যেতে দেবো তোকে?
মিমের কন্ঠ কেমন কর্কশ আর মলিন শোনালো।শেফা চমকে গেলো কিছুটা।এই মিমের আবার কি হলো।
মিমের দিকে তাকাতেই প্রচন্ড একটা ধাক্কা গেলো।মিম নয় দাঁড়িয়ে আছে জেনি।
জেনির মুখ দিয়ে কালো ধোয়া বেরোচ্ছে।আর চোখে যেনো অগ্নিবারুদ।
ঘাড় কাত করে হৃদপিন্ডটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জেনি।চিরে যাওয়া বুক দিয়ে রক্ত বেয়ে বেয়ে পড়ছে।শেফা ভয় পেয়ে গেলো।জেনি হৃদপিন্ডটা হাতে নিয়ে এগিয়ে আসছে শেফার দিকে।শেফার পিছিয়ে যাচ্ছে।এমন মনে হচ্ছে শেফার যদি দেয়াল চিরে দেয়ালের ভেতর ঢুকে যেতে পারত আর মুক্তি পেতো জেনির থেকে।কিন্তু এটা কখনো সম্ভব না।
জেনির হাতের হৃদপিন্ড টা এখনো নড়ছে আর তা থেকে ফোটা ফোটা কালো কুচকুচে রক্ত পড়ছে।জেনি শেফার কাছে এসে হৃদপিন্ড টা শেফার মুখের সামনে ধরে বলল,
“নাও খাও এটা! খুবই মজা লাগবে তোমার।”
শেফা মুখ ফিরিয়ে নিলো।পচাঁ রক্তের গন্ধে বমি এসে যাচ্ছে শেফার।জেনি হাসতে হাসতে বলল,
“কি হলো মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছো কেনো? তখন তো খুব মজা করে খেয়েছিলে আমার কলিজাটা।এবার আমি এই হৃদপিন্ডটা তোমাকে উপহার দিলাম।”
শেফা ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে গেলো বলল,
“আমি তোমাকে মারিনি।তুমি ভুল বলছো, আমি কেনো তোমাকে মারতে যাব?
জেনি হাসতে হাসতে বলল,
“আমি মিথ্যা বলছি? তুই মিথ্যা বলছিস।আমিতো মারা গেছি তোর হাতে।”
এতোটুকু বলে থেমে গেলো জেনি, শেফা ভয়ে ঘামছে শুধু।জেনি কেঁদে ফেলল, কান্না জড়িত কন্ঠে বলল,
“আমাকে কেনো মারলি? জানিস আমি তোকে আমার বন্ধু ভেবেছিলাম আর তুই আমার বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে আমাকে মেরে ফেললি! আমার মা কত কষ্ট করে এখানে পাঠিয়েছেন লেখাপড়া করতে কিন্তু তোর জন্য আমার মায়ের জীবনটা কষ্টে কষ্টে ভরে গেছে।”
কথাটি শেষ হওয়া মাত্রই রাগে ফুসে উঠলো জেনি।নিজের মাথাটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হাসতে হাসতে শেফার কানে তালা লাগিয়ে দিচ্ছে।শেফা দুই হাতে কান চেপে ধরেছে।জেনি হাসি থামিয়ে শেফার গাল চেপে ধরলো এবং জোর করে হৃদপিন্ডটা শেফার মুখের ভেতর ঢুকাতে লাগল।শেফা ছুটার জন্য ছটফট করছে।এবার বুঝি প্রানটা বেরিয়েই যাবে…এতোটুকু চিন্তা করতেই ওয়াশরুমের দরজায় টোকা পড়ল।
ঠক…ঠক…ঠক
শব্দটা কানে যেতেই শেফা কে ছেড়ে দিলো।জেনি কয়েক পা পিছিয়ে ফ্লোরে গড়িয়ে গড়িয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।
ক’থার গলার শব্দ পাওয়া গেলো ওপাশ থেকে।ক’থা চেঁচিয়ে বলছে,
“কিরে শেফা আর কতক্ষন থাকবি? এবার বেরিয়ে আয়।”
শেফা সুস্থির হলো হাত মুখ ধুয়ে সকল কিছুর দাগ মুছে ফেলল।তারপর দরজা খোলে দিলো।
শেফা বেরিয়ে আসতেই ক’থার একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হলো।
শেফা প্রতিটা প্রশ্নের জবাব দিলো অন্যমনস্ক হয়ে।ক’থা বোঝতে পারলো কিছু তো একটা হয়েছে যার কারনে শেফা অস্বস্তিতে ভোগছে।
তাই ক’থা আর কিছু বলল না শেফা কে।যখন সুস্থির হবে শেফা একাই বলবে সব।সেই সুযোগটা শেফাকে দেওয়া উচিৎ।
রাত্রি নিঝুম, চারপাশ নিরব নিস্তব্ধ! কোথায় কোন কোলাহুল নেই, নেই কোন হইচই।শেফা শোয়ে আছে আর ভাবছে সব কিছু।কি থেকে কি হয়ে গেলো লিরার কথা জেনির কথা কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না।
শশান থেকে যেনো করুন সুরে কেউ ক্রমাগত ক্রন্দন করছে।বাথরুম থেকে পতিত আত্মা জেগে উঠলো।ঘুঙ্গুর পড়া কালো পা দুটি একেবেকে হেটে হেটে শেফার সিয়রে এসে দাড়ালো।
.
.
চলবে..
লিখেছেনঃ রাহিমা নিশাত নিঝুম