তিতির এর গাড়ি থামলো একটা বাড়ির সামনে। পুরানো বাড়ি। ঝোপঝাড়ে ঘেরা।এক প্রকার রাজবাড়ির মতো।তিতির ধীরে ধীরে বাড়ির দরজার সামনে আসলো।দরজার সামনে ৩জন লোক ছিলো।তিতির লোকদের বললো “রহস্যে ভরা পৃথিবী, কেউ নয় আপন,সবাই হলো পর।” বলার সাথে সাথে লোক গুলো দরজা খুললো। তিতির ভিতরে ঢুকলো।
তিতির হাটতে লাগলো তিতির এর সামনে একটা বড় ঘর।সেখানে অনেক লোক। সবার হাতে বন্দুক।
তিতির ধীরে ধীরে হাটছে। তিতির দেখতে পেলো একটা চেয়ার যাতে একজন বসে আছে।মুখ অন্যদিকে ফেরানো।
তিতিরঃকাজ হয়ে গেছে। আমি আপনার কথামতো কাজ করেছি।সবাইকে মেরে ফেলেছি।আর ব্লু প্রিন্ট ও এনেছি।
চেয়ারে বসা লোকটি এতক্ষন চুপ ছিলো।এবার উঠে দাড়ালো।
এরপর তিতির এর দিকে তাকালো।
আর জোড়ে জোড়ে হাসি দিলো।
তিতিরও হাসলো।
তিতিরঃস্যার আপনি তো ফাটিয়ে দিলেন। কেউ বুঝতেও পারবে না যে বাংলাদেশের সনামধন্য মিনিস্টার বাবুল আহমেদ। দেশের বন্ধু,জনগণের নেতাই হলো মাস্টার মাইন্ড।
হুমমমমম ঠিক ই ধরেছেন মাস্টার মাইন্ড আর কেউ না মিনিস্টার।
মিনিস্টার ঃ হাহাহা।সবই রহস্য।মিনিস্টার এর পেশা তো সামনের ঢাল আর এটা হলো আমার আসল কাজ। জানো তিতির তোমার টিমের মধ্যে তুমিই হলে বুদ্ধিমতী।
তিতির একটা শয়তানি হাসি দিলো।
….জানো তিতির ছোট থেকেই আমি খুব কষ্টের সাথে মানুষ হয়েছি।আমার মা অনেক কষ্টে মানুষ করেছিলো।আমি তখন খালি বড়লোকদের দেখতাম আর ভাবতাম।একদিন আমি ঠিক করে ফেললাম আমিও বড়লোক হবো অনেক টাকা কামাবো।সব টাকা আমার হাতের মুঠোয় থাকবে।আমার মাথায় ছিলো আমাকে যেভাবে হোক বড়লোক হতে হবে। তাই পড়ালেখা করলাম
তারপর অনেক সাধনার পর মিনিস্টার হলাম।
কিন্ত আমার মাথায় আরো টাকা কামানোর কথা আসলো।
তাই আমি মানুষদের জমির দখল নিতে লাগলাম। তখন ঐটায় করতাম। হটাৎ একদিন এক জমির মালিক জমির দখল দিতে চাইলো।আমি আমার ভাড়াটে লোক দিয়ে ভয় দেখালাম তবুও মানলো না।আমার মাথা গরম হয়ে গেলো দিলাম দাঁ দিয়ে তার মাথায় এক কোপ আর মাথা আলাদা হয়ে গেলো।
সেটায় ছিলো আমার প্রথম খুন।এরপর আমার খুন করতে আনন্দ লাগতে শুরু করলো।তাই করতে লাগলাম আমার পথে যে আসে তাকে শেষ করে দিতাম আর হয়ে উঠলাম ডেভিল। মার্ডার, হিউমান ট্রাফিকিং,কিডন্যাপ সব করতে লাগলাম।খুব ভালোই চলছিলো।আমি টাকা পাচ্ছিলাম।কিন্তু আফতাব চৌধূরী টিম 6 তৈরী করলো আর সে টিম আমার উপর ভারী হতে লাগলো। তাই তো তোমাকে দিয়ে এই কাজ করলাম।হাহাহা
তিতিরঃস্যার আসলেই আপনাকে মানতে হবে আপনি আসলে মাস্টার মাইন্ড। তবে আমার একটা প্রশ্ন ছিলো।
….বলো কি বলবে আজ তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দিবো।
তিতিরঃআপনি যদি ডেভিল হন তাহলে আপনি কেনো নিজের র্যালিতে হামলা করালেন?
…..😂😂😂😂আরে ঐটা? ওটাতো আমার প্লান ছিলো আর আমার লোক ছিলো।
তিতিরঃপ্লান?বুঝলাম না।
…আসলে এবার ইলেকশনে বিপরীত পার্টির প্রার্থী প্রচুর ভালো ছিলো। আমার জিতার সম্ভাবনা কম ছিলো।আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করবো।তাই ভাবলাম নিজের দিকে মানুষকে আকর্ষন করতে হবে তাই এসব করলাম।
তিতিরঃবাহ স্যার,আপনার কি প্লান।নিন স্যার আপনার জিনিস। এবার আমার টাকা দিন।
…..(ব্লু প্রিন্ট নিয়ে) হুমমম তা তো দিব।তুমি ছাড়া তো আমার কাজ হতোই না তবে কি তিতির আমি না সবসময় পাকা কাজ করি। যার কারনে আজ পর্যন্ত কেউ ধরতে পারেনি।আমি জানি তুমি আমার প্লানে অনেক সাহায্য করেছো কিন্তু কি করবো বলো আমি যদি তোমাকে আজ যেতে দি তুমি আমার জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারো।তাই সরি তিতির আমি কোনো ঝামেলা চাই না তাই তোমাকে মারতেই হবে।
তিতিরঃআপনি আমাকে মারবেন (অবাক হয়ে)
না আপনি এমন করতে পারেন না।
…আমি সব পারি তিতির।সো সরি আজ তুমি মরবে সাথে আমার রহস্যও 😂😂😂😂
তিতিরঃনা
…মিনিস্টার গুলি হাতে নিলো আর তার সামনে তিতির।। তিতিরঃনা;আমাকে ছেড়ে দিন, না!!!!!!!
মিনিস্টার গুলি মারতে লাগবে এমন সময় কোথা থেকে গুলি এসে তার হাতে লাগলো আর তার হাত থেকে বন্দুক পড়ে গেলো।
মিনিস্টার ঃআহহ!!!!!! তার হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে।
মিনিস্টার গুলির আসার উৎসের দিকে তাকালো আর যা দেখলো তাতে ওর পায়ের তলা থেকে জমিন সরে যাওয়ার অবস্থা। কারন তার সামনে দাড়িয়ে আছে তিতাস,আকাশ,নীল,প্রিয়া,শুভ।
মিনিস্টার ঃএই কি করে সম্ভব ওরা তো মারা গেছে। ওরা কিভাবে এখানে?
তিতিরঃহাহাহাহা
মিনিস্টার তিতির এর দিকে তাকালো সে হাসছে।
তিতাসঃকেমন আছেন স্যার?
আকাশঃগুড ইভিনিং স্যার।
নীলঃআজ দিনটা সুন্দর তাই না স্যার!!
প্রিয়াঃ নীল দিনটা তো সুন্দর কিন্ত স্যার এর মুখটা পেঁচার মতো কেনো হয়ে আছে?
শুভঃ আমার মনে হয়,স্যার শক খাইসে তাই না স্যার?
তিতিরঃঠিক বলেছো শুভ, স্যার মনে হয় শক খাইসে।স্যার পানি খাবেন?চিলড ওয়াটার। 😉😉😉
মিনিস্টার ঃকি হচ্ছে এসব?
তিতাসঃসব বলছি স্যার তার আগে আপনার এই চাংকু পাংকু গুলাকে জেলে পাঠায়।
অফিসার্স!!!!
বলার সাথে সাথে ১দল অফিসার আসলো আর সব গুলো লোককে ধরে ফেললো।
মিনিস্টার ঃকি হচ্ছে এসব!!!!!!!!!!!! আর তোমরা কিভাবে?????
তিতিরঃবলছি স্যার বলছি স্যার।
.
.
চলবে……………..
লিখেছেনঃ নিলাঞ্জনা রহমান