আহহহহহহ!!!!!!!!!!!মরে গেলাম। আম্মু ওওওওওও বাচাওওওওওওওওওওওওও!!!!!!!!!!!আআআআআআআআআ
কি ভাবছেন কি হয়েছে? বলছি।।।।।
তিতির ফাইল নিয়ে অফিসে ঢুকছিলো এমন সময় কারো সাথে ধাক্কা খায় আর পরে যায় আর এই কাহিনী।
তিতিরঃঐ জলহস্তি, খচ্চর, বান্দর , ডাইনাসোর এর পঁচা ডিম, কালা কুমির চোখ কি পাশের বাসার মানুষরে দান কইরা আসছোস দেখস না
লোকঃদেখুন আমার কোনো দোষ নেই আপনি ফাইল নিয়ে এতো ব্যসত ছিলেন যে আমাকে দেখেন নাই আর তাই ধাক্কা দিসেন আপনার দোষ তার উপর আপনি আমাকে চিল্লাচ্ছেন
তিতিরঃকি!!!!আমার দোষ। আমার কাজের জায়গায় এসে আমাকে দাদাগিরি দেখাস!!!
তিতির পাশের টেবিল থেকে পানির গ্লাস নিয়ে পানি লোকটির উপর মেরে দিলো।
আর সেখান থেকে রেগে চলে গেলো।
তিতির যদি পিছনে তাকাতো তাহলে বুঝতো লোকটা রেগে ফায়ার হয়ে আছে।
পরিচয়ে আসা যাক।
তিতির রহমান আমাদের নায়িকা।
তিতির একজন CBI অফিসার। খুব সাহসী একজন মেয়ে।খুব সাহসিকতার সাথে লড়াই করে।বাবা মার একমাত্র মেয়ে। ঢাকায় থাকে এক বান্ধবীর সাথে। বান্ধবীর নাম প্রিয়া।সে ও তিতির এর সাথে কাজ করে।দুজনই CID অফিসার। তিতিরের বাবা মা চট্টগ্রামে থাকে।
তিতির চঞ্চল মেয়ে তবে কাজের প্রতি প্রচুর সিরিয়াস।
আফতাব চৌধূরী।CBI এর হেড।
আফতাব রুমে বসে কাজ করছিলো।
কিছু ফাইল চেক করার পর টেলিফোন নিয়ে পিয়নকে ডাকলো।
পিয়নঃআসতে পারি স্যার?
আফতাবঃহুমমম।আবদুল সবাইকে কনফারেন্স রুমে আসতে বলো।
ওকে স্যার।
১৫মিনিট পর…………..…………..
সবাই কনফারেন্স রুমে আসলো।
আফতাবও আসলো।
হ্যালো অফিসার্স। আপনাদের আজ এখানে ডাকা হয়েছে কিছু জরুরি কথা বলার জন্য।।
সবার প্রথমে আপনাদের পরিচয় করাতে চায় আপনাদের নতুন সিনিয়র অফিসার যিনি এখন আমাদের সাথে কাজ করবে। সো ওয়েলকাম সিনিয়র অফিসার তিতাস চৌধূরী।
তিতাস চৌধূরী আমাদের গল্পের হিরো।সিনিয়র অফিসার। এতোদিন চট্টগ্রামে পোস্ট ছিলো। কিন্তু তিতাস তার ফ্যামিলির সাথে থাকতে চেয়েছিলো তাই ঢাকায় এসে এখানে জয়েন্ট করেছে।তিতাস এর বাবা আফতাব চৌধূরী।
মা রাবেয়া চৌধূরী। তিতাস এর একটা বোন আছে মৌনতা।
তিতাসকে দেখে সবাই হাত তালি দিলেও তিতির ভয়ে ঢোক গিলছে। তিতির এর পাশে বসা প্রিয় বললো কিরে কি হয়েছে এমন কেনো করতাসস?কি হয়সে তোর?
তিতিরঃবইন আমি আজ সকালে এক লোকের লগে হেব্বি ঝগড়া করছি এমন কি পানিও মারসি আর সে লোক হইলো আমগো সিনিয়র অফিসার
প্রিয়াঃকি!!!!!!মাইরি আর কাউরে পাস নায় ঝগড়া করার?.
তিতিরঃবইন এখন আমার কি হইবো?আমি শেষ।এই ব্যাটা যদি বলে দে আমি তারে পানিতে গোসল করাইসি স্যার আমারে লাথি দিয়া বের কইরা দিবো
প্রিয়াঃহয়সে আর কান্দিস না। মিটিং শেষ হলে তুই মাফ চেয়ে নিস।
তিতিরঃহুমমম তাই করুম।
আফতাবঃআমাদের একটা নতুন কেস এসেছে আর আমি এই কেস এর জন্য একটা নিউ টিম বানাবো আর সেই টিম এর হেড হবে অফিসার তিতাস।
তিতাসঃওকে স্যার।
আফতাবঃতাহলে আমি যাদের নাম বলবো তারা এই টিম এর সদস্য।
অফিসার আকাশ,অফিসার শুভ,অফিসার তিতির,অফিসার নীল,অফিসার প্রিয়া।
সবাই একে একে দাড়ালো।
তিতিরকে দেখে তিতাস এক রহস্যময় হাসি দিলো।
আফতাবঃকাল আপনারা ৬জন আমার সাথে কনফারেন্স রুমে দেখা করবেন ১১টায়।ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?
সবাই বলে উঠলো ইয়েস স্যার।
আফতাব চলে গেলো সবাই চলে যেতে লাগলো।তিতাস তখনও দাড়িয়ে ছিলো।
তিতিরঃ ইউ ক্যান ডু ইট তিতির। ফুুুু। জাস্ট সরি বলবি তারপর চলে আসবি কি এতো বড় কাজ।
তিতির ভয়ে ভয়ে তিতাস এর সামনে গেলো।
কিছু মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না।
তিতাস ফাইল দেখছিলো।
তিতিরঃস্যা..স্যা..স্যার!!
তিতাস তিতির এর দিকে তাকালো।
তিতাসঃওহহ আপনি! তো মিস ঃতিতির আপনি যেনো কি বলছিলেন আপনার কাজের জায়গা, দাদাগিরি সামথিং…..
তিতিরঃসরি স্যার মাফ করে দেন আমি জানতাম না আপনি অফিসার আসলে টানা ২ ঘণ্টা কাজ করার পর ফাইল ঠিক করে আসছিলাম আপনার সাথে ধাক্কা লেগে সব পড়ে গিয়েছিলো তাই মাথা গরম হয়েগিয়েছিলো আম সরি।
তিতির এর ফেস দেখে তিতাস এর খুব হাসি পাচ্ছিলো।
তিতাসঃসরি মিস আপনাকে তো মাফ করা সম্ভব না আপনার সাহস দেখে আমি অবাক হই আমার গায়ে পানি ফেললেন এখন আবার ক্ষমা করতে বলছেন।শুনেন আমি তো আপনাকে মাফ করছিনা।১মিনিট আমি তোমাকে আপনি কেনো বলছি তুমি তো বয়স আর পোস্ট দুটোতেই আমার ছোট তাই তুমি বলেই ডাকি। শুনো তোমাকেতো আমি মাফ করছিনা।এখন তুমি আমার টিম মেম্বার। এখন তুমি বুঝবে তিতাস কে!সো বি কেয়ারফুল বেশি নড়চড় করলে তোমার চাকরি শেষ!ওকে,সো গো নাও!
তিতিরঃস্যার!!(করুণ কণ্ঠে)
তিতাসঃ নো মিনস নো আপনি এখন আসতে পারেন।
তিতির আর কি করবে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বের হয়ে গেলো আর মনে মনে তিতাসকে অনেক গালি দিলো।
তিতাস ঃআমার গায়ে পানি ফেলা তুমি এখন বুঝবা মিস তিতির।
তিতাস তার কাজে মনোযোগ দিলো।
পরেরদিন……..
টিমের সবাই কনফারেন্স রুমে উপস্থিত। সবাই টুকটাক কথা বলছিলো।
এমন সময় আফতাব রুমে এলো।সবাই তাকে দেখে দাড়িয়ে গেলো।
আফতাবঃবসো সবাই। আমি স্ক্রিনে কিছু কন্টেন্ট দেখাবো সবাই আগে দেখে নাও তারপর কথা।
লাইট অফ হয়ে গেলো। সবার সামনে কিছু ছবি ভাসতে লাগলো।
আফতাবঃ১৭টা মার্ডার,ড্রাগ ডিল,হিউম্যান ট্র্যাফিকিং এর মতো জঘন্য কাজ আমাদের এখানে বেরেই চলেছে।অনেক চেষ্টার পরও তাদের ধরা কষ্টকর হচ্ছে। এতোগুলো আইনবিরোধী কাজের পিছনে রয়েছে একজন মাস্টার মাইন্ড ডেভিল।যে এসব এর পিছনে।
তিতাসঃএই ডেভিলটা কে?
আফতাবঃআমরাও জানি না। তাকে আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি।অনেক চেষ্টার পরও তাকে ধরা যাচ্ছে না।আর এজন্যই তোমাদের এই টিম আমি তৈরী করেছি।আমি চাই আমার এই স্পেশিয়াল টিম যাতে ওকে ধরতে পারে।কারন তোমাদের প্রত্যেকের মধ্যে আমি এক অনন্য প্রতিভা দেখি যার কারণে তোমরা টিম 6 এ আছো।
আই হোপ তোমরা আমাকে নিরাশ করবানা।
সবাই বলে উঠলো ইয়েস স্যার।!!!
আফতাবঃওকে তোমাদের এই টিম এর ফাস্ট মিশন হলো মিনিস্টার এর র্যালি।আমার গোপন সূত্রে জানা গেছে ডেভিল এর টিম ওখানে হামলা করতে পারে। আর মিনিস্টার কে মারার সম্ভাবনা রয়েছে।তাই আমি চাই আমার টিম যাতে ওখানে থাকে আর মিনিস্টার কে বাঁচাতে পারে।সো মাই টিম আর ইউ অল রেডি।
ইয়েস স্যার!!!!!
গুড। দ্যা মিটিং ইজ ডিসমিস ফর নাও।কাল তোমরা ওখানে যাবা।
আফতাব চলে গেলো।
প্রিয়া ঃকিরে স্যার তোকে মাফ করলো?
তিতিরঃনা!!ঐ হনুমান করে নাই। আমাকে এটিটিউড দেখাচ্ছে। কি ভাবে নিজেকে কালো কুমির।
,ধলা বান্দর, খচ্চর , ফাটা বাঁশ
প্রিয়াঃবইন চুপ কর আর বলিস না!!!!
তিতিরঃকেনো বলবো না আমি ভয় পাই নাকি?
না ভয় পাবেন কেনো আপনি তো ঝাসি কি রাণী।পিছন থেকে তিতাস বললো।
তিতিরঃঐ কে রে?স্যার আপনি!!!!
তিতাস রাগে তিতির এর দিকে তাকিয়ে আছে।
তিতিরঃস্যার আপনি!!
তিতাসঃজি আমি আপনি যেনো কি বলছিলেন মিস তিতির।
তিতিরঃকিছু না স্যার। আসলে ঠান্ডা পড়ছে তো তাই আপনি বেশি শুনতাসেন। হিহিহি
তিতাসঃ………….
তিতির ভেবে পারছেনা কি করবে তাই কি আর করা তিতির একবার তিতাসকে দেখলো একবার দরজা আবার তিতাস আবার দরজা।
তিতিরঃস্যার ঐ দেখেন তিতাস ঐ দিকে তাকাতেই তিতিরকে আর পাই কে দিলো এক দৌড়।
তিতাস অবাক এটা কি হলো।
প্রিয়া কি করবে না বুঝে সেও দিলো দৌড় এদিকে তিতাস অবাক কি হলো এসব.।।
চলবে…………….
লিখেছেনঃ নিলাঞ্জনা রহমান