জিসান পুরো কম্পিউটার দুটি হ্যাক করে সকল ডেটা তার সার্ভারে কপি করে আনে।
সবাই মিলে ঘাটতে থাকে কিছু প্রমান পাওয়া যায় যদি সেই আশায়…..
সবাই মিলে দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলে।
এখন সবটা ক্লিয়ার ওদের কাছে মেয়েটির কোন বহিরাগত যোগাযোগ নেই কিন্তু ১৩ তারিখ রাতে একটি ভিডিও কলে কথা বলে মেয়েটি তার পর থেকে তার কাছে বিভিন্ন কল আসতো মেয়েটি তাদের বিভিন্ন বেনামি একাউন্টে টাকা পাঠাতো…..
এখন মেইন কাজ হলো এদের পিছনে যে আছে তাকে খুজে বের করা….. হ্যাকার দ্যা রকস্টার
জিসান কথা মানে হ্যাকার গার্লস এর লিডার কে ইনফর্ম করে যে সাবধানে থাকতে কারন হ্যাকাররা যারা খুন পর্যন্ত করতে পারে এতো নিখুতভাবে তারা কতাটা মারাত্বক তা ধারনা করা হয়ে গেছে।
আর কথা যেহুতু খোজখবর নিয়েছে এলাকায় ঘুরে ঘুরে তখন নিশ্চিত হ্যাকারদের নজরে পরেছে….
তাই তাকে সাবধানে কাজ করতে হবে।
আর কথা প্রোটেকশন দেয়াও জিসানের দায়িত্ব ।
জিসান ওই হ্যাকারদের সমপর্কে খুজতে থাকে কিন্তু ট্রেস করতে পারছেনা ।
পুরো ইতিহাস মুছে ফেলেছে ওই হ্যাকার দল…..
জিসান রাতে আর কিছু করেনা বাসায় চলে যায়….
বাসায় গিয়ে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে আর সাকিব আর বাকিরা ফার্মহাউজেই আছে কোন খোজ পেলে জিসান কে ইনফর্ম করবে। হ্যাকার দ্যা রকস্টার
মাঝরাতে জিসানের সিকিউরিটি এলার্ম বেজে উঠে…..
নোটিফিকশনে শো করছে যে কেউ বা কারা যেন Black panther 2.0 এর ফায়ারওয়্যাল ভাংগার চেষ্টা করছে….
এই সিকিউরিটি সিস্টেম অনলি কথা ইউজ করে তাই এর মানে হচ্ছে কথা অনেক বড় বিপদে আছে…
যেহুতু জিসানের কাছে ওদের সার্ভার রুমের ঠিকানা ছিলো তাই জিসান সোজা সেখানে চলে যায়….
কিন্তু সেখানে পৌছে জিসান একটু বিব্রত হয়ে যায় কারন এটা একটা বাড়ি । হ্যাকার দ্যা রকস্টার
জিসান দেখে যে তিনতলায় একটি রুমে লাইট জলছে তাই জিসান অনেক কষ্টে পাইপ বেয়ে সেখানে চলে যায় জানালা দিয়ে দেখতে পায় যে কথা ও তার বান্ধবীরা অনেক বিজি সিস্টেম হ্যাক করা আটকাতে জিসান…..জানালায় নক করে প্রথমে কেউ শুনতে না পেলেও কথা শুনতে পায় কথা গিয়ে জানালা খুলে দেয় এবং ভয়ে চিৎকার দিতে নিলে জিসান মুখ চেপে ধরে…
জিসানঃ শান্ত হও আমি রকস্টার…. হ্যাকার দ্যা রকস্টার
কথাঃমজা করার আর টাইম পেলেন না কোন মতলবে এখানে এতো রাতে এসেছেন।
কথা জিসানকে চিনতে পারেনি রকস্টার হিসেবে কেন না জিসান তারাহুরোতে মাস্ক লাগাতে ভুলে গেছে…
জিসান কোন কথা না বলে ওর বান্ধবীদের সরিয়ে কম্পিউটার এর কিবোর্ড হাতে নিয়ে টাইপিং শুরু করে জিসান দেখে যে ফায়ারওয়্যাল সব টপকে ফেলেছে হ্যাকারদল আর কয়েকটা বাকি এর মানে হ্যাকারদল জানতে পেরে গেছে যে কথা কোন এলাকায় থাকে । হ্যাকার দ্যা রকস্টার
জিসান ২০ সেকেন্ডে ওদের সিস্টেম হ্যাক করে নেয় আর সার্ভার লোকেশন নোট করে সার্ভার অফলাইন করে দেয়…
কথা আর ওর বান্ধবীরা এতোক্ষন সাইডে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছিলো ওরা বুঝতে পেরে গেছে যে এ আর কেউ না সয়ং রকস্টার….
কথাঃআসলে সরি আমি কোনদিন ফেস দেখিনি তাই চিনতে পারিনি।
জিসানঃঅসুবিধা নেই…..
কথাঃআসলে আমি জানতাম না মানে কোনদিন বুঝতে পারিনি যে আপনিই রকস্টার…
কিভাবে বুঝবো বলেন এরকম ক্ষেত হয়ে ঘুরে বেড়ান ।
জিসানঃআমি যদি না আসতাম তাহলে কি করতে হ্যা ?
জানোনা এরা কতটা মারাত্বক
যদি কিছু হয়ে যেতো? হ্যাকার দ্যা রকস্টার
[একনিশ্বাসে কথাগুলো বলে]
কথাঃ আমি ভেবেছিলাম আপনাকে ইনফর্ম করবো কিন্তু আপনাকে এতো রাতে বিরক্ত করবো তাই আরকি….
আর আমার কিছু হলে আপনার কি?
জিসানঃআসলেই তো আমার কি আমি কে যে আমার কিছু হবে।
জিসানের মন খারাপ হয়ে গেছে….
কথাঃআসলে আমি ওভাবে বলিনাই….
জিসানঃআমি শুনতে চাইছি?
[প্রচন্ড রাগ সহিত কথাটি বলে]
জিসানঃআমার সাথে চলো তোমাকে আর একা রাখা যাবেনা তোমাকে একদিন একা ছেড়েই যে অবস্থা….আর আমার কিছু যাতে হয় সেই ব্যাবস্থাই করবো আজ । হ্যাকার দ্যা রকস্টার
কথাঃমানে… কোথায় যাবো….
জিসানঃজাহান্নামে…চলো…..
কথা ওর বান্ধবীদের বিদায় জানিয়ে জিসানের সাথে চলে যায়…
জিসান কথাকে একটা জায়গায় নিয়ে আসে ।
কথা বুঝতে পারছেনা যে কি হচ্ছে….
একটু পর সাকিব,নীল,অর্ক সবাই চলে আসে..
.সাথে জিসানের মা-বাবা আর কথার মা-বাবা আর কথার বান্ধবীরাও কথাতো এদের দেখে থ হয়ে আছে মানে অনেক বড় লেভেলের একটা ধাক্কা খেয়েছে…
এর মধ্যে সুর্য্যি মামা নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে…..
কথা দেখতে পায় যে সবাই একটি কাজী অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে….
এটা দেখ আরো বড় সক খায়…. হ্যাকার দ্যা রকস্টার
জিসান কথাকে সবার থেকে একটু আড়ালে নিয়ে যায় কথার সামনে হাটু গেড়ে বসে প্রোপোজ করে…
ভালবাসা শব্দটা ছোট হতে পারে কিন্তু এর গভীরত্ব,মর্যাদা,গুরুত্ব অন্য যেকোন কিছুর চাইতে হাজার গুন বেশি…
আমি মনে করি এই শব্দটা এই অনুভুতিটা সৃষ্টিকর্তা শুধু আমার আর তোমার জন্যই বানিয়েছে…
ভালবাসা রুপ সৌন্দর্য বিবেচনা করে হয়না দুটির সুন্দর মনের মিলনে হয় তাই ভেবোনা যে তোমার সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েছি…
তোমার প্রতি এখন যতটুকু ভালবাসা আছে…..
সারাজীবন এর থেকে একচিলতে কমবে না বরং বারবে… হ্যাকার দ্যা রকস্টার
তোমাকে আমি একদিন দুইদিন না ক্লাস এইট থেকে ভালবাসি কিন্তু কোনদিন প্রকাশ করতে পারিনি…
আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষন প্রকাশ করার তাই বলে দিলাম…
দিবে কি তোমার হাতটি ধরার সুযোগ
দিবে কি আমায় তোমার সুখ দুঃখের ভাগ
দিবে কি সুযোগ তোমার সন্তানের আব্বু হতে
চলবে কি আমার সাথে সারাজীবন
কেননা
তোমাকে বড্ড বেশি ভালবাসি… হ্যাকার দ্যা রকস্টার
কথা কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা একটি মানুষ কাউকে এতোটা ভালবাসতে পারে জানা ছিলোনা….
আর এরা দুজন দুজনকে এতোটা ভালবাসে কিন্তু কোনদিন প্রকাশ করতে পারেনি….
কথাঃআমিও তোমাকে বড্ড বেশি ভালবাসি…..
কোনদিন ছেড়ে যাবেনা তো…..
জিসানঃযতদিন এই দেহে প্রান আছে ততদিন ছেড়ে যাবোনা মরে গেলেও আত্ত্বা হয়ে তোমার কাছেই থেকে যাবো….
কি দিবেনা সেই অধিকার?
কথা আর কিছু না বলে জিসানকে উঠিয়ে জিসানকে জড়িয়ে ধরে।
পাশ থেকে হুইসেল এর আওয়াজ আর তালির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে….
জিসান আর কথা এতোটাই বিভোর ছিলো যে দেখতেই পায়নি পাশে সবাই দাঁড়িয়ে আছে….
এরকম একটা সিচুয়েশনে মনের অবস্থা কি হতে পারে আপনারা জানেন।
জিসানের মাঃআল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছে…
বলেছিলাম আল্লাহ আমার ছেলেটাকে একটু চালাক চতুর বানিয়ে দাও আল্লাহ যে এভাবে সারপ্রাইজ দিবে ভাবতেও পারিনি।
পাশ থেকে জিসানের বাবা আর কথার মা-বাবা হো হো করে হেসে চলেছে….
কি হলো সেটাই তো ভাবছেন আমি বলি….
জিসানের বাবা আর কথার মা কলেজ লাইফের বন্ধু জিসান যখন ফোন দিয়ে বলে যে তারাতারি চলে আসতে তখন সবাই চিন্তায় পড়ে যায় কিন্তু যখন সাকিব আর বাকিরা সবটা খুলে বলে তখন জিসানের বাবা আপত্ত্বি করলেও পড়ে যখন এখানে আসে তখন কথার মা কে দেখে আর আপত্ত্বি করেন নি।
সবাই রাজি এই বিয়েতে….কথার বাবা মারও কোন আপত্ত্বি নেই এরকম ভালো একটা ছেলের কাছে নিজের মেয়ের বিয়ে দিতে কে না চায়….
কাজী আসে একটু পরে সবার সম্মতিতে জিসান আর কথার বিয়ে পড়ানো হয়….
একসপ্তাহ বাদে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করা হবে….
জিসান বৌ নিয়ে বাড়িতে চলে আসে…..
.
.
চলবে….
লিখেছেনঃ RaFsan Ahmed Sabbir