জিসান কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা যেখানে সারাদুনিয়ায় তার টিমমেট বন্ধুরাও জিসানকে অতটা ভালো করে চেনেনা সেখানে এই মেয়ে কিভাবে…..
আপনি কাল সকালে ……..রেসটুরেন্টে আসবেন নইলে খবর আছে?
জিসানঃ আমি কেন আসতে যাবো?
না আসলে খবর আছে…..
জিসান এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা….
কি করা উচিৎ জিসানের যাওয়া /না যাওয়া……
জিসান অনেক ভাবনা চিন্তার পর এই সিদ্ধান্তে পৌছালো যে সে জাব…….
কেনোনা জিসান এই মেয়েকে ভালবাসে।জিসান এমন ভাবে যাবে যাতে চিনতে না পারে……
চিনে ফেললে সমস্যা অনেক বড় সমস্যা…..সৃষ্টি হবে…..
তাই স্বিদ্ধান্ত নিলো যে মাস্ক পরে যাবে যাতে চিনতে না পারে….
সকালে,
জিসান তৈরী কিন্তু অন্যরকম সাজে
সারা দুনিয়ার মানুষ তাকে যেভাবে চিনে সেভাবে….না
এক অন্য রকম সাজে …..
মানে রকস্টার এর বেশে
সাইবার ওয়ার্ল্ড ডার্ক ওয়ার্ল্ড তাকে যেভাবে চিনে সেভাবে….
জিসান বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সাকিবের ফার্ম হাউজে গেলো ওখানে ওর বাইক রাখা যেটা খুব কমই ব্যাবহার করা হয়।
সাকিব ও সবাইকে সবটা খুলে বললো পরে বাইকের চাবি নিয়ে
গ্যারেজ থেকে
জিসান বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো কথার দেয়া ঠিকানায়…..
কথা একটা রেস্টুরেন্টের দেয়া ঠিকানায়….
জিসান একটা হুডি পরা চেহারায় মাস্ক ব্ল্যাক টাইট জিন্স আর লেদারের সু আর বাইক একেবারে সিনেমার হিরো……..
যে দেখবে সেই একটা বড় সড় বাশ খাবে মানে ক্রাশ খাবে….
জিসান ঐখানে গিয়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকলো দেখতে পেলো কথা আর দুই বান্ধবী বসে আছে…
জিসান তাদের টেবিলে বসে পড়লো……
তিনজনে জিসানকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখছে…
দেখছে বললে ভুল হবে স্ক্যান করছে….চোখ দিয়ে….
জিসান বার বার পকেট থেকে বাইব্রেশন এর সাউন্ড পাচ্ছে…
মানে জিসান যেখানেই যাক না কেনো সাথে তার মিনি কম্পিউটারটি নিয়ে যায়….
কথাঃ হ্যালো মিঃ কেমন আছেন….
জিসান মানে রকস্টার
রকস্টারঃ আলহামদুলিল্লাহ
কথাঃ তো শেষ মেষ ধরা দিতেই হলো…
রকস্টারঃ মানে..
কথাঃ এই যে দেখা দিলেন
রকস্টারঃ কই দেখা দিলাম আপনারা কি আমায় দেখছেন…
কথাঃ না সেটা দেখিনি….
কিন্তু আপনি দেখে করতে তো আসছেন।সেটাই অনেক।
রকস্টারঃ আমি ইচ্ছা করছি তাই দেখা পাইছেন নাহলে সারাজীবন হিমালয়ে তপস্যা করলেও পাইতেন না আমার সাথে দেখা করার সৌভাগ্য এই পৃথিবীতে আপনাদেরই বোধহয় প্রথম হইছে…
কথাঃ ওই মিস্টার আপনি বিশাল কোন সেলিব্রিটি না সাইবার কিং রকস্টা…..
আর বলতে পারলো না জিসান ওর মুখ চেপে ধরলো….
রকস্টারঃ কি হইতেছে মাইক এনে দেই সেইখানে বলেন গিয়ে…
কথাঃ সরি….
জিসান তার পকেট রাখা মিনি কম্পিউটারের বাইব্রেশন এর জ্বালায় অসহ্য হয়ে বের করে যা দেখে তা দেখে তা দেখে সে চারিদিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে তার সামনে তাকায়……
কি ভাবছেন কি হলো…
আসলে জিসানে যেটা হ্যাকার গার্লদের দিয়েছিল মানে ব্ল্যাক প্যান্থার ২.০ এর signal পাচ্ছে তাও আবার এতো কাছ থেকে এর মানে দারায় জিসানের সামনে যার বসে আছে তারাই হ্যাকার গার্ল….
রকস্টারঃহ্যাকার গার্লস কেমন আছেন।
(তিনজনকে উদ্দেশ্য করে বলে)
কথা আর ওর দুই বান্ধবী তো অবাকের চরম পর্যায়ে….কিন্তু সাইবার কিং অর্থাৎ রকস্টারের কাছ থেকে এতটুকু আশা করা যায়….
কথাঃ কি আবোল তাবোল বকছেন……
কে হ্যাকার গার্ল…
রকস্টারঃ দেখি তোমার ব্যাগটা……
কথাঃ এখন কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা বাধ্য হয়ে ব্যাগটা রকস্টার কে দিয়ে দেয়…..
জিসান ব্যাগ থেকে একটি মিনি কম্পিউটার বের করে ওদের সামনে রাখে…..
জিসান এখনো মিথ্যা বলবেন?
আচ্ছা দেখুন
বলে কম্পিউটারটি ওদের সামনে ওপেন করে রাখে….
ভেতরে লেখা রকস্টারস ব্ল্যাক প্যান্থার ২.০
কথা এখন পড়ে গেছে মহা বিপাকে সত্য বলা ব্যাতীত কোন পথ কোন উপায় নেই কারন তার সামনে উপস্থিত সয়ং রকস্টার……
কথাঃ আসলে…
রকস্টারঃ হইছে আর বলতে হবেনা আমি অনেক আগেই সন্দেহ করছিলাম…
কথা আর কিছু বলেনা……
কথা জুস অর্ডার করে…আর কিছু খাবার…
এটা রকস্টারকে জব্দ করার একটি প্ল্যান মাত্র….
জিসান একটি মুচকি হাসি দেয়….
কথা খাবার আসার পর চেয়ে থাকে জিসানের দিকে যে কিভাবে খায় মুখোশ খোলা ছাড়া….
.
.
চলবে….
লিখেছেনঃ RaFsan Ahmed Sabbir