ঢাকনায় ফিংগার প্রিন্ট লক দেওয়া জিসান তারমিনি কম্পিউটার টি বের করে পুরো বাড়ির সার্ভার অফলাইন করে দেই এবং লকটি আনলক করে।
ঢাকনাটি খুলে যায় জিসান আর সাকিব পিস্তল নিয়ে ঢুকে পড়ে আন্ডার গ্রাউন্ড রুমটিতে পুরো রুমটি একটি অত্যাধুনিক সার্ভার রুম ।
অনেক হাইটেল গ্যাজেট লাগানো এখানে।
জিসান পুরোটা পরখ করে দেখতে থাকে।
হঠাৎ সাকিবের ডাকে দেখতে পায় যে রক্তের দাগ ।
রক্তটা জিসান আংগুল দিয়ে পরখ করে দেখে বেশি একটা পুরনো না খুবই সামপ্রতিক রক্তের দাগগুলো।
সাকিবঃমেয়েটাকে এখানেই মারা হয়েছে।
জিসানঃহ্যা ।
ভিডিওর ব্যাগ্রাউন্ড আর রক্ততো সেই কথাই বলছে।
কিন্তু মেয়েটা এখানে এলো কি করে ।
সাকিবঃহয়তো মেয়েটা এদের সাথে কাজ করতো….
জিসানঃতাহলে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো কেন?
সাকিবঃসেটাই তো রহস্য….
উপর থেকে অর্ক ডাকছে
অর্কঃভাই তারাতারি চল কেউ আসছে এইদিকটাই…
জিসানঃসিট….
সবাই তারাতারি বেড়িয়ে যায় সবকিছু আগের মতো করে দিয়ে।
ওখানে বেশিক্ষন থাকলে ধরা পড়ার চান্স থাকতো।
আর এরা সাংঘাতিক লেভেলের ডেঞ্জেরাস ।
তাই জিসান রিস্ক নিলোনা।
কিন্তু আরো কিছুক্ষন থাকতে পারলে কিছু প্রমান পেতো।
দূর থেকে জিসান ওদের দেখার চেষ্টা করেছিলো কিন্তু সবার মুখে মাস্ক লাগানো।
জিসান আর বাকি সবাই মিলে তাদের ফার্মহাউজে এসে পড়ে….
জিসানঃসাকিব,অর্ক,নীল,সবাই মেয়েটার ছবির মাধ্যমে মেয়েটির খোজ লাগা আমাদের লেভেল বেস্ট দিয়ে ট্রাই কর।
সাকিবঃহুমম আমি শুরু করে দিয়েছি।
সাকিব আর বাকি সবাই মিলে মেয়েটার ছবির খোজ লাগাতে থাকে কিন্তু মেয়েটার কোন ট্রেস পাওয়া যাচ্ছেনা।
জিসানের কাছে সবকিছু কেমন যেন লাগছে।
কেননা ওরা যেকোন কারোর ডিটেইল বের করে নেয় খুব সহজে কিন্তু আজ এমন হচ্ছে কেন।
হঠাৎ জিসানের কাছে সবটা পরিস্কার লাগে….
জিসানঃসাকিব খুজে লাভ নাই পাবিনা….
সাকিব সহ বাকিরা কি বোর্ড ছেড়ে জিসানের দিকে তাকায়….
কি বলতে চাচ্ছে জিসান?
সাকিবঃতোর কেন এমনটা মনে হয়……
জিসানঃ একটা প্রবাদ পড়েছিস খারানো মানুষকে খুজে পাওয়া যায় কিন্তু নিজে থেকে লুকানো মানুষকে খুজে পাওয়া যায়না।
সাকিবঃতুই কি বলতে চাচ্ছিস যে…
জিসানঃহ্যা ঠিক ধরেছিস আমি বলতে চাইছি যে মেয়েটার সব ডিটেলস মুছে ফেলা হয়েছে…….
সাকিবঃতাহলে এখন উপায়…..
জিসানঃআমাকে একটু ভাবতে দে….
জিসান বাড়িতে চলে আসে…..
জিসান চাইল এদের ২ মিনিটে নাস্তানাবুদ করতে পারে কিন্তু মশা মারার জন্য কামানের প্রয়োজন পড়েনা…..
তাই সে সেটা ব্যাবহার করছেনা।
জিসান রাতে খেয়ে রুমে বসে ভাবতে থাকে কিভাবে সাপ ও মড়বে আর লাঠিও ভাংবে না।
মানে ওই হ্যাকারদেরও ধরা যাবে প্রমান সহ আর নিজেদের পরিচয়ও গোপন রাখা যাবে।
হঠাৎ জিসানের মেইল বক্সে একটা মেসেজ আসে সেই হ্যাকার গার্লদের
অর্থাৎ টিম ইনভিসিবল শ্যেডোর ।
জিসানের চক্ষু চরক গাছ হয়ে গেছে মেসেজটা দেখে……
লেখাঃ আপনি খুব ভালো গল্প লেখেন
জিসান রিপ্লাই দেই কি সব ফালতু বকছেন?
ফালতু বকছি না প্রমান আছে আমার কাছে
কিসের প্রমান?
এইযে আপনিই লেখকঃ#AA_SABBIR
কে এ এ সাব্বির আমি রকস্টার।
আপনি আমার সাথে চালাকি করতে পারবেন না আপনার অরিজিনাল নাম আশরাফুল আলম সাব্বির আর আপনার ছদ্দ নাম মিঃক্ষেত আপনি গল্পে আপনার নাম দেন #AA_SABBIR আর আপনি কোন হ্যাকিং করলে সেখানে লিখে রেখে আসেন….যে #AA এখন কি বলবেন?
জিসান কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা যেখানে সারাদুনিয়ায় তার টিমমেট বন্ধুরাও জিসানকে অতটা ভালো করে চেনেনা সেখানে এই মেয়ে কিভাবে…..
আপনি কাল সকালে ……..রেসটুরেন্টে আসবেন নইলে খবর আছে?
জিসানঃআমি কেন আসতে যাবো?
না আসলে খবর আছে…..
জিসান এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা….
কি করা উচিৎ জিসানের যাওয়া /না যাওয়া……
.
.
চলবে….
লিখেছেনঃ RaFsan Ahmed Sabbir