রাতে খেতে বসে তার বাবা মার সাথে খাবার খাচ্ছিল জিসান….
হঠাৎ টুট আওয়াজ হলো পকেট থেকে…..
জিসানের ফোন বেজে ওঠে….
একবার বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে ফোনটি রিসিভ করলো…
জিসানঃ আসসালাম ওয়ালাইকুম হ্যালো কে বলছেন….
সাকিবঃ………………………………..
জিসানঃ হ্যা তুই কি সিউর এই খবরের ব্যাপারে…
সাকিবঃ…………………………………
জিসানঃওকে ফোন রাখ ।
মাঃ কে ফোন দিয়েছিল?
জিসানঃ সাকিব…
বাবাঃএতো রাতে কোন সমস্যা কি?
জিসানঃ না বাবা……
মাঃ তাহলে যে কিসের খবরের কথা বলছিলি?
জিসানঃ আরে ওর নাকি বাবা মা দাদার বাড়িতে গেছে গেছে…
বাবাঃওহহহ…
জিসানঃ ওর নাকি ভয় করছে একা শুতে তাই আমাকে ডাকছে…
বাবাঃএতো রাতে যেতে পারবি?
জিসানঃ হুমম সমস্যা হবেনা….
খাওয়া শেষ করলাম…..
ল্যাপটপ আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সাব্বির বেরিয়ে গেলো.
তার যেই প্রোফেশন তা কেউ কোনদিন জানতে পারেনি এমনকি তার বাবা মা ও না…
সাইকেল চালিয়ে এসে পড়লো
ফার্মহাউজের সামনে তাই একটু সময় লেগেছে….
আসলে ওদের এলাকা সহ পুরো শহরে জিসান খুব ভদ্র বলেই পরিচিত খুবই সাদামাটা জীবনযাপন করে বাবা বাইক কিনে দিতে চাইলেও না করে দেয়….
কিন্তু কেউ জানেনা যে জিসান সারা বিশ্বের নামকরা হ্যাকার…..
যাকে সাইবার জগতে সবাই এক নামে চিনে….
“Rockstar”
যার নামে পুরো সাইবার ওয়ার্ল্ড কাপে….
সাকিবদের ফার্ম হাউজের ভেতরে প্রবেশ করলো সাব্বির…
নিচতলায় আন্ডারগ্রাউন্ড একটি রুম ঐখানেই তাদের সব কাজকর্ম সম্পাদিত হয়……
ফিংগার প্রিন্ট লক আর ফেস রিকোগনাইজেশন দেওয়া…
লক আনলক করে
ভেতরে প্রবেশ করলো জিসান …
একটি ফুল ব্লু কালারে রং করা একটি ঘর..
সাউন্ডপ্রুফ…..
আর সমপুর্ণ রুমটি হাইটেক সিস্টেমে ডিজাইন করা
রুমটি অনেক বড়…..
রুমের চারকোনায় চারটি কম্পিউটার ডেস্ক…..
৪ জন ছেলে বসে আছে সবার হাত কম্পিউটারের কি-বোর্ডে
জিসানঃকিরে সালারা ওয়েলকাম ও করবি না……
অর্কঃকখন এলি….
নিলয়ঃওর কথা আর বলিস না….
ওতো ভীতু বিড়াল
কিরে বাবা-মা আসতে দিলো তো?
সাকিবঃহাহাহা ওকে আর পচাশ না বেচারা কেদে দিবে….
জিসানঃআরে থামবি তোরা
কথা বলবি…..নাকি
আমাকেও একটু কথা বলতে দিবি?
সাকিবঃতুই কথাও বলতে পারিস জানতাম না….তো
তুইতো কম্পিউটারের পোকা….
জিসানঃহাহ এই পোকা মানে Virus কত কি করতে পারে জানিস না…
অর্কঃওরে আবার ক্ষেপাইতেছিস একটু পরে আবার কান্দিস না….
জিসানঃএই তোরা কেনো ডেকেছিস?
অর্কঃশোন …..
শুনেছি যে নতুন একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর উপদ্রব বেড়েছে….
….
জিসানঃ আবার কোন হ্যাকার গোষ্ঠী আসছে?
নাম জানতে পেরেছিস….
নিলয়ঃ
আমরা একেবারে সিউর না যে আসলে ওরা কারা এবং কোথা থেকে উদয় হয়েছে….
জিসানঃকেনো?
নিলয়ঃআসলে সাম্প্রতিক সকল হ্যাকিং এর নিউজ ও রিসার্চ এর মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে এইরকম ভাবে শহরের আরো তিন জায়গায় টাকা চুরি হয়েছে….
কিন্তু যাদের টাকা কেউ স্বিকার করছে না যে টাকা চুরি হয়েছে….
অর্কঃ তোকে ফোন দেবার আগেও একজন পুলিশের ডিসির একাউন্ট হতে ২০ কোটি টাকা চুরি হয়……
সাকিবঃএর পিছনে নিশ্চই কোন বড় ধরনের গাফলা আছে….
আর যে টাকাগুলো চুরি করেছে সেগুলো কিন্তু কোন সাধারন মানুষের টাকা নয়…..
জিসানঃহুমম কেনোনা তোদের ভাষ্যমতে যে কয় জায়গাতে চুরি হয়েছে তারা কেউনি অভিযোগ লেখায়নি.
তোরা চেক করেছিস যে কোন আইপি হতে টাকাগুলো চুরি করা হয়েছে ..?
সাকিবঃনা তোর জন্য বসে ছিলাম…
দেখি সর বলে জিসান তার ডেস্কে বসে পড়ে….
কিবোর্ডে হাত চালাতে থাকে….
জিসানঃতোরা এক কাজ কর একেক করে সবগুলো একাউন্টে মানি ট্রাঞ্জেকশন চেক কর
দেখ কোন কিছু পাস কিনা..
সবাইঃওকে বস…
সবাই একাউন্টগুলো চেক করতে লাগলো….
জিসানঃতোরা একটা জিনিস খেয়াল করেছিস…..
যে যে একাউন্টে চুরি হয়েছে সব জায়গাতেই একটা এনক্রিপটেড ফাইল আছে …..
সবাইঃহুম
সাকিবঃফাইলগুলো ডিক্রিপ্ট করতে সময় লাগবে এ হ্যাকার অনেক চালাক আর এ্যাডভান্স
অর্কঃএ চাইলে তো নিজের সব প্রমানই মুছে দিতে চাইতো….
জিসানঃহুমম ,ডিক্রিপ্ট কর দেখ নিশ্চই কিছুনা কিছু পাওয়া যাবে….
আর পুলিশের রিপোর্ট মতে ৪ জায়গায়……
যার যার টাকা চুরি হয়েছে তারাই কেউই কোন অভিযোগ লেখায়নি এর মানে এদের টাকা White money না Black money
যদি অভিযোগ লেখাতো তাহলে পুলিশ ইনভেস্টিগেশনে….
তারাই ফেসে যেতো…….
সাকিবঃফাইলগুলো ডিক্রিপ্ট হয়ে গেছে কিন্তু…….
চলবে….
লিখেছেনঃ RaFsan Ahmed Sabbir