আমি মেজর ডালিম বলছি: অসীম সাহস ও ত্যাগের কাহিনী
অসীম শ্রদ্ধা এবং প্রত্যয়ের সাথে আমি মেজর ডালিম বলছি বই বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের তাদেরকেই উৎসর্গ করা হয়েছে; যারা স্বাধীনতা, সত্য, ন্যায় এবং অধিকারের জন্য সংগ্রাম করার সাহস রাখবেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং এর পরবর্তী সময়ের ইতিহাসের সাথে যারা সম্পৃক্ত, তাদের মধ্যে মেজর ডালিমের নাম উল্লেখযোগ্য। যদিও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছু লেখা হয়েছে, তবে পুরো সত্য উদ্ঘাটিত হয়নি। শরিফুল হক ডালিম, সেই ব্যক্তিদের একজন যিনি স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মেজর ডালিমের সংগ্রাম
একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা, যিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন। এই ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি একসময় ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম নেতা, পরবর্তীতে তারই শাসনের সময়ে একটি চরম স্বৈরাচারী চরিত্র ধারণ করেন।
তিনি এবং তার সহকর্মীরা সেই সময়ে বিশ্বাস করতেন যে দেশের পরিস্থিতি চরম পরিণতির দিকে যাচ্ছে। তাদের মতে, শেখ মুজিবের শাসনামলে দেশের সার্বিক অবস্থা খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছিল, যা দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ছিল। তাই তারা এই রক্তাক্ত অধ্যায়ে অংশ নেন।
শরিফুল হক ডালিমের জীবন
শরিফুল হক ডালিম, ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়, এবং সেই সময়ে বাংলাদেশ বেতারে তার সংশ্লিষ্টতার কথা ঘোষণা করেন। ‘৭৫ পরবর্তী কতিপয় সরকার তাকে বিদেশে বিভিন্ন বাংলাদেশি দূতাবাসে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়।
আমি মেজর ডালিম বলছি বইয়ের মাধ্যমে তিনি জীবন এবং তার সংগ্রাম সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি মূল্যবান দলিল হিসেবে কাজ করবে।
মেজর ডালিমের জীবনের প্রতিফলন
তার জীবন এবং তার ভূমিকা সম্পর্কে বিশদ বিশ্লেষণ আমি মেজর ডালিম বলছি বইয়ের মূল উদ্দেশ্য। তার জীবনের এই দিকগুলো এমন বিষয় যা গভীরভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে তার বিদ্রোহ এবং স্বাধীনতাত্তোরকালে তার ভূমিকা বাংলাদেশি ইতিহাসের একটি জটিল অধ্যায়।