প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ – আরিফ আজাদ | বেস্টসেলার বই
“প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২”—আরিফ আজাদের সর্বাধিক জনপ্রিয় বইগুলির একটি, যা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পাঠকদের মাঝে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ এবং তার দুঃসাহসিক অভিযাত্রা নিয়ে এই বইটি সত্য ও বিশ্বাসের সন্ধানে এক অনন্য কাহিনী শোনায়।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
ঘুটঘুটে অন্ধকার! সেই অন্ধকার গ্রাস করে আছে সবকিছু। এমন সময় কোথা থেকে যেন ছুটে আসে এক উষ্ণ আলোক রশ্মি। সেই আলোর পরশে নিমিষেই মিলিয়ে যায় অন্ধকার রাত। প্রভাতী কিরণের মতো চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এই আলোক রশ্মি। যাত্রা হয় এক নতুন দিনের, নতুন সময়ের। এমনই আবহে সত্য ও পবিত্র পথের সন্ধানে দুঃসাহসিক অভিযাত্রার গল্প নিয়ে এগিয়ে যায় সাজিদ—আর অবিশ্বাসের দেয়ালে গেঁথে যায় বিশ্বাসের কথামালা। ভেঙে পড়ে অবিশ্বাসের দেয়াল, নির্মিত হয় সত্যের ইমারত। সত্য আর শুভ্রতার সেই গল্পে আপনিও একজন অংশীদার…
সূচিপত্র: প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
- কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?
- A Reply to Christian Missionary
- ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে?
- কুরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য
- বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড—ঘটনার পেছনের ঘটনা
- স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প
- রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে
- জান্নাতেও মদ?
- গল্পে জল্পে ডারউইনিজম
- কুরআন কেন আরবী ভাষায়
- সূর্য যাবে ডুবে
- সমুদ্রবিজ্ঞান
- লেট দেয়ার বি লাইট
- কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা
- নিউটনের ঈশ্বর
- পরমাণুর চেয়েও ছোট
- লেখক-পরিচিতি
বইয়ের কিছু কথাঃ কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?
অনেকদিন পর শাহবাগে হঠাৎ নীলু দা’র সাথে দেখা। প্রথমে খেয়াল করিনি। পেছন থেকে এসে আমার মাথায় টোকা দিয়ে বললেন, “কী খবর কবি সাহেব?” পেছন ফিরতেই দেখি হাতে একগাদা বই নিয়ে নীলু দা দাঁড়িয়ে আছেন। চোখে মোটা ফ্রেমের কালো চশমা লাগিয়েছেন বলে দেখতে একদম স্কুল মাস্টারের মতো লাগছে। খয়েরি রঙের টি-শার্ট গায়ে। আমি খুবই অপ্রস্তুত ছিলাম। বললাম, “আরে দাদাভাই যে! কেমন আছ?” “ভালো। তুই কেমন?” “ভালো।”
কুশলাদি বিনিময় করতে করতে আমরা একটি ফাঁকা স্থানে এসে দাঁড়ালাম। নীলু দা জিজ্ঞেস করল, “সাজিদ কোথায়?”
এই মুহূর্তে সাজিদ কোথায় তা আমিও জানি না। একটু আগেও সে আমার সাথে ছিল। আমি মোবাইলে টাকা রিচার্জ করে এসে দেখি সে উধাও। কখন থেকে ফোন করেই যাচ্ছি! যদিও জানি, সে আমার ফোন ওঠাবে না, তবুও ব্যর্থ চেষ্টা করে যাওয়া আরকি! কতক্ষণই বা এরকম কাঠফাঁটা রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়? নীলু দা’র প্রশ্নের জবাবে বললাম, “আছে হয়তো এদিকে কোথাও।”…
লেখক পরিচিতি: আরিফ আজাদ
আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা। লেখককে বর্ণনা করতে গিয়ে ডঃ শামসুল আরেফিন একথাই বলেছেন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচূর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এই লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন তিনি। চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এই লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন।
লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।