তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা
তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর জীবন ও কাজের ওপর ভিত্তি করে তাঁর কন্যা শারমিন আহমদ একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদের জন্ম ঢাকায়। ১৯৮৪ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী। তিনি ১৯৯০ সালে ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেলোশিপ ও উইমেন্স স্টাডিজ স্কলারস অ্যাওয়ার্ডসহ উইমেন্স স্টাডিজে মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি শিশু শিক্ষার ওপরেও মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করেন।
শারমিন আহমদ একজন প্রখ্যাত লেখক ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত। বিশ্বের পেশাজীবী নারীদের অন্যতম বৃহত্তম মানব উন্নয়ন সংগঠন, দ্য সোরপটিমিস্ট ইন্টারন্যাশনাল অব দ্য আমেরিকাস, ওয়াশিংটন ডিসি, তাঁকে “উয়োম্যান অব ডিস্টিংশন” অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ। তাঁর প্রথম প্রকাশিত দ্বিভাষিক বই, “হৃদয়ে রংধনু-দ্য রেইনবো ইন এ হার্ট”, মাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ আর্টস কারিকুলামের জন্য উচ্চ অনুমোদনসহ প্রশংসিত হয়েছে। বইটি বর্তমানে নৃত্যনাট্যে রূপান্তরিত হয়েছে, যা ম্যারিল্যান্ডের অভিজাত এফ. স্কট ফিটজজেরাল্ড থিয়েটার ও বাংলাদেশের জাতীয় শিল্পকলা একাডেমীতে মঞ্চস্থ হয়ে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে।
শারমিন আহমদ তাঁর বাবার মতোই একজন নেতার ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁর সাহিত্যকর্ম ও সামাজিক অবদানের মাধ্যমে। তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা, এই প্রবন্ধে আমরা শারমিন আহমদের জীবন, কাজ, এবং তাঁর পিতার ইতিহাসের প্রতি তাঁর অবদান সম্পর্কে জানবো।
শারমিন আহমদের শৈশব ও শিক্ষা জীবন
শারমিন আহমদের জন্ম এবং শিক্ষা জীবন ঢাকায় শুরু হলেও, ১৯৮৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। ১৯৯০ সালে ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি উইমেন্স স্টাডিজে মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন। এই ডিগ্রি অর্জনের পর, শারমিন আরও শিশু শিক্ষার ওপর মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করেন, যা তাঁকে শিক্ষার ক্ষেত্রে একজন দক্ষ পেশাজীবী করে তোলে।
শারমিন আহমদের সাহিত্যকর্ম ও অবদান
শারমিন আহমদ একজন বিশেষজ্ঞ লেখক হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর বই, “হৃদয়ে রংধনু-দ্য রেইনবো ইন এ হার্ট”, সমাজে শান্তি শিক্ষার প্রচারে বিশাল ভূমিকা পালন করেছে। এই বইটি শুধু ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ আর্টস কারিকুলামের জন্যই নয়, বরং নৃত্যনাট্যেও রূপান্তরিত হয়েছে, যা বিশেষত শিশু-কিশোরদের মধ্যে শান্তি শিক্ষা প্রসারে অবদান রেখেছে।